কলকাতা: আলিপুর প্যারেডগ্রাউন্ডের সভা থেকে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, আমরা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে চলতে চাই৷ উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চা সুন্দরী নিয়ে কবিতা লিখেছি৷ আমি নিজে চায়ের পাতা তুলেছি৷ আদিবাসী ঘরবাড়িতেও গিয়েছি৷ তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার আসার আগে কেউ উত্তরবঙ্গের দিকে ফিরেও তাকাত না৷ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বন দেখতে আসত৷ আর মৌরলা মাছ খেত৷ সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে যেত৷ উন্নয়নের প্রতি কারও কোনও নজর ছিল না৷ তৃণমূল সরকার ক্ষমতা আসার ১০ বছরের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে৷ সেই সঙ্গে তাঁর কড়া বার্তা, মরে গেলেও উত্তরবঙ্গ ভাগ হতে দেব না৷
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ, রাজ্যের হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট
এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল গোর্খাল্যান্ড করবে৷ বলে সবাই পালিয়ে গিয়েছে৷ আমি কোনও দিনই গোর্খাল্যান্ড করতে দেব না৷ আগে পাহাড়ের সঙ্গে তড়াই-ডুয়ার্সের অনেক সমস্যা ছিল৷ পাহাড়ের সঙ্গে তড়াই-ডুয়ার্সের ঝগড়া বাঁধিয়ে দিয়েছিল৷ আমরা ঝগড়া চাই না৷ পাহাড়ও আমাদের বন্ধু, তড়াই-ডুয়ার্সও আমাদের বন্ধু৷ বিজেপি’র কেউ কেউ বলছে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা হবে৷ আমি রক্ত দিতে প্রস্তুত৷ কিন্তু বাংলাকে ভাগ করতে দেব না৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, পঞ্চানন বর্মা, রাজবংশী, উদ্বাস্তুদের ভাগ করতে পারবেন? হিন্দু, মুসলিম বা পাঞ্জাবীদের ভাগ করতে পারবেন? কত মানুষ কত ধর্ম-কত বর্ণ৷ আমরা সবাই এক৷ এক হয়েই থাকব৷’’
সুর চড়িয়ে মমতা আরও বলেন, ‘‘কিছু নেতা যাঁদের কাজ-কর্ম নেই, তাঁরা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে৷ উত্তরবঙ্গ ভাগ না করলে নাকি আমাকে মেরে দেবে৷ আমি তাঁদের বলছি ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও৷ বন্দুক ভোঁতা করে দেব৷’’ বিজেপি’র প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলেও সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>