কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, ফেল করার পরেও বহু প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা রীতিমতো চাকরিও করছেন৷ প্রথমিক শিক্ষক পদে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ৷ এখন আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আদালত জানিয়েছে, রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।
আরও পড়ুন- কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার পর নামী রেস্তরাঁ! রূপঙ্করের গান বয়কট করল কর্তৃপক্ষ
এদিন রাজ্যর তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে বিজেপি-র দায়ের করা মামলার গ্রহনযোগ্যতাই নেই। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন৷ এতদিন পর মামলা দায়ের করা যায় না বলেই দাবি অ্যাডভোকেট জেনারেলের। অন্যদিকে মামলাকারীর দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বৃহত্তর কেলেঙ্কারি হয়েছে। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে নিয়োগ হয়েছে। গত এপ্রিলে ৭৩৮ জনের নিয়োগ হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি।
মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ, প্রাথমিকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণযোগ্য। মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় কেন বলছে রাজ্য? এক সপ্তাহের মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এর তিন দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দেবে মামলাকারী। ২১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>