পুজোর আগে ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

পুজোর আগে ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

2a3599e6746146f36b2d51a6d6c63603

কলকাতা: ২৩ জন চাকরি প্রার্থীকে ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এবার আরও ৫৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন তিনি৷ ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ৷ শূন্য পদ না থাকলে, ভবিষ্যতের  জন্য থাকা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের৷

আরও পড়ুন- মমতার ৬ আত্মীয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা, ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বনলতা সমাদ্দার-সহ ৫৪ জন চাকরি প্রার্থী। সেবার প্রশ্নপত্রে বেশ কেয়কটি ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নগুলিতে যেসব পরীক্ষার্থী উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই অনুযায়ী ওই পরীক্ষার্থীরাও নম্বর পান৷ কিন্তু নম্বর বাড়ার পরেও তাঁদের কেন নিয়োগ করা হল না, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামালতেই এদিন এই রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

এদিকে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়৷ তাতে দেখা যায় তাঁরা সকলেই অসফল হয়েছেন। ফলে  চাকরিও হয়নি৷ পরবর্তীতে সোহম আদালতে জানান, প্রশ্নপত্রে ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকার জন্যই তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি৷ এমনকি, প্রশিক্ষিত নন এমন অনেককেই সেই সময় চাকরি পেয়েছেন৷ ঘটনাচক্রে, প্রশ্ন ভুলের অন্য একটি মামলায় বেশ কয়েক জন মামলাকারীকে বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বাড়তি নম্বরের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন সোহমরাও৷ 

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে হাইকোর্ট পর্ষদকে বলে, টেটের ভুল প্রশ্নের জন্য মামলাকারীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া যায় কি না,  তা বিবেচনা করে দেখুন৷ এই নির্দেশের ভিত্তিতেই পরের বছর ডিসেম্বর মাসে সোহমদের ভুল প্রশ্নের বিনিময়ে ছয় নম্বর দেয় পর্ষদ। সেই নম্বর পাওয়ার পর তাঁরা সকলেই টেট উত্তীর্ণ হন। পাশ করলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

পর্ষদের বক্তব্য, প্রশ্নে ভুল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, এই মুহূর্তে পর্ষদের হাতে শূন্যপদের তালিকা নেই। সেই কারণেই ওই ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য শূন্যপদ ঘোষণা করলেই নিয়োগ করা হবে৷ তবে তাদের সেই যুক্তিকে মান্যতা দেয়নি আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ,  গত ছয় বছর ধরে এই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ভবিষ্যতের জন্য থাকা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ২৩ জনকে চাকরিতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷  এবার একই সময়সীমার মধ্যে আরও ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি৷