কলকাতা: বিজেপি নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ এই মামলায় প্রধান বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, সরকারি, বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট যেমন করা যাবে না তেমনই অকারণে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। এছাড়াও গোটা ঘটনায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে আদালতের তরফে। আগামী সোমবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: একজন বিক্ষোভে, অন্যজনের ঘোষণা, ‘অভিযান শেষ’! দিলীপ-সুকান্ত মতান্তর
এদিন এই মামলার শুনানি শেষে আদালত জানায়, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আটক হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে বিজেপির তরফ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা নস্যাৎ করে পাল্টা তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে। আর রেল স্টেশনে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখিয়ে আটকে দিয়েছিল তার কোনও অভিযোগ নেই। এও জানান, হাওড়া শিবপুর থানা এবং আদালত চত্বরে কোনও বেআইনি জমায়েত করা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
তিনি আদালতকে এও জানিয়েছেন, আজকের অভিযানে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, পুলিশ কিয়স্ক ভাঙচুর করা হয়েছে, ফুটপাতের রেলিং ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমজি রোডে। এছাড়াও হাওড়ার ১৫ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ধরণের মামলায় মামলাকারীকে আর্থিক জরিমানা করা উচিৎ। বিজেপির মূল অভিযোগ ছিল, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে। জেলায় জেলায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তাঁরা আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন রেল স্টেশনে কর্মী সমর্থকদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, মহিলাদের ওপর পুলিশ ‘অত্যাচার’ করেছে।