রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের

রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের

কলকাতা:  রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা তুঙ্গে৷ সম্প্রতি লোকসভায় রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণের আর্জি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন আবার নাম না করে রাজ্যপালকে ঘোড়ার পাল বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একহাত নেন রাজ্যপাল৷ 

আরও পড়ুন- সমস্ত স্তরের পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত বিবৃতি পড়েছি৷ আমি খুশি হতাম যদি মিডিয়া ওঁকে এই সকল বিষয়ে প্রশ্ন করত৷ এটা খুবই দুর্ভাগজনক এবং গণতন্ত্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চাই, আমার টেবিলে কোনও ফাইল পড়ে নেই৷ কোনও ইস্যুর সমাধান না হলে, রাজ্যকেই তার জবাব দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী ফোন ট্যাপিংয়ের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে৷ অথচ সংবাদমাধ্যম চুপ৷ 

তাঁর কথায়, ৯০০ টুইট আছে৷ কোনও টুইট প্রকাশ্যে এনেছি কিনা, বলুন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যপাল বলেন, তাজবেঙ্গল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির কোনও সত্যতা নেই৷ তাজবেঙ্গল নিয়ে উনি মিথ্যে ভাষণ করেছেন৷ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মা ক্যান্টিন চালু করা হয়েছিল৷ টাকা কোথা থেকে আসছে? আমি এ নিয়ে জানতে চেয়েছি৷ কোনও জবাব আসেনি৷ রাজ্যপাল হিসাবে সংবিধান রক্ষা করাই আমার কাজ৷ আমি কখনও খারাপ ভাষা ব্যবহার করিনি৷ 

রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘এই রাজ্যে আমলারা তাঁদের কর্তব্য ভুলে গিয়েছেন৷ রাজ্যে প্রতি মুহূর্তে সংবিধানের রীতি ভঙ্গ হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের শপথ নিয়েছেন৷ উনি ভুলে যাচ্ছেন৷ রাজ্যে আইনের শাসন না থাকলে রাজ্যপাল তো পদক্ষেপ করবেই৷ এখানে আইনের শাসন নেই৷ শাসনের আইন চলছে৷ রাজ্যে যা ঘটছে তা মানবতা, সংবিধানের পরিপন্থী৷ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷ আমি রাজ্যে শিল্পায়ন চাই, কিন্তু এর জন্য পরিবেশ প্রয়োজন৷ আইনের শাসন থাকলেই রাজ্যে শিল্প আসবে৷ 

রাজ্যপালের কথায়, তৃতীয় বারের জন্য আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, আপনি আরও একবার দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন৷ আমি কখনও খারাপ আচরণ করি না৷ কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে উনি রাজ্যপালকে স্বাগত পর্যন্ত জানাননি৷  এমনটা এই দেশে কোথাও হয়নি৷ আপনি আপনার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন৷ আমাদের দেশে রাইট টু ইনফরমেশন আইন রয়েছে৷ অথচ আপনি কোনও তথ্য দিতে নারাজ৷ এটা কোনও ইগোর বিষয় নয়৷ রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখাটাই দস্তুর৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *