কলকাতা: তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং আরও কয়েক কোটির সম্পত্তি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও মিলেছে মোটা অঙ্কের টাকা। ইডির আগে থেকেই সন্দেহ ছিল যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরও সম্পত্তি আছে। তাঁকে জেরা করে মূলত সেইসব কিছুর খোঁজ পেয়েছে ইডি এবং সেই প্রেক্ষিতেই শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে তাঁরা। মাদুরদহ থেকে ল্যান্সডাউনের আবাসন, সব জায়গায় চলছে ইডির হানা।
আরও পড়ুন- ভাবমূর্তি কি আদৌ বদলাবে? মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে মুকুলের মত
বিভিন্ন জায়গায় আবাসনে তো তল্লাশি অভিযান চলছেই, তার পাশাপাশি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের রাজডাঙার ‘ইচ্ছে’র অফিসও সিল করে দিয়েছে ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি আধিকারিকদের ৪ টি দল বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। প্রায় একই সময় একাধিক জায়গায় তদন্ত চালান তাঁরা। অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই হানা বলে জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে এই সব জায়গা থেকে আরও অনেক নথি বা অর্থ মিলতে পারে। এখন দেখার ইডি আধিকারিকদের অনুমান সঠিক হয় কিনা।
অন্যদিকে আবার মঙ্গলবার অর্পিতা স্পষ্ট দাবি করে বলেছেন, তাঁর ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি তাঁর অজান্তেই সেই টাকা রাখা হত বলে দাবি করেছেন তিনি। শারীরিক পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই আনা হয়েছিল তাঁকে। পরীক্ষার পর যখন তাঁকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে সাংবাদিকরা অর্পিতাকে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি চিৎকার করে বলেন, ”টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে আমারই অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা রাখা হয়েছে।” আরও কিছু বলার চেষ্টা করার আগেই তাঁকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এই কথাটি তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন।