কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে গত ২৬ তারিখ রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরের সকালের কিছু পরেই তিনি ইডি দফতর থেকে বের হন। কিন্তু ওই একদিনের জিজ্ঞাসাবাদেই কি শেষ? তেমনটা কখনই নয়। সূত্রের খবর, পুজো মিটলেই আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে তলব করতে পারে ইডি। কারণ তাঁর প্রথম পর্বের জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি পেয়েছে আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- বাড়ছে চাপ, সাংসদপদ খারিজ নিয়ে দিল্লিতে তলব শিশির অধিকারীকে, সশরীরে হাজিরার নির্দেশ
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রীর স্মৃতিতে তৈরি স্কুলের ডিরেক্টর কল্যাণময়। ওই স্কুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্তত ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে ইডি সূত্রে দাবি। অথচ খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে বিনিয়োগের পরিমাণ ৪.৩৫ কোটি৷ এই বিষয়ে দফায় দফায় প্রশ্ন করা হয়েছিল পার্থর জামাইকে। ইডি দাবি করছে, আমেরিকা থেকেই তিনি সংস্থা ও ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। কী ভাবে, কোন টাকা কোথায় গিয়েছে তা তিনি খুব ভালো করেই জানেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি পুরোটা খোলসা করে বলেননি। বেশ কিছু নথি ও তথ্য দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অসঙ্গতি ছিল তাঁর বয়ানে। তাই ফের একবার কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ডাকা হতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই ইডির সন্দেহ যায় পার্থ মেয়ে এবং জামাইয়ের ওপর। সেই সময়ই মেদিনীপুরের পিংলার স্কুল ও একাধিক কোম্পানির তথ্য হাতে পায় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপরেই তলব করা হয়েছিল পার্থর জামাইকে। যদিও তিনবার তলব এড়িয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য।