কলকাতা: গরুপাচার-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এখন জেল হেফাজতেই আছে। কিন্তু সে আরও একবার গ্রেফতার হল। কারণ, তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আসানসোল জেলে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গলকে গ্রেফতার করেছে তারা। মূলত তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাবে কিনা।
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ED-CBI যাবে’, বিস্ফোরক বঙ্গ বিজেপি সভাপতি
সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করার পর সে এতদিন ধরে জেলেই আছে। এবার এই একই মামলায় ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করে ইডি। আসানসোলের অবসরকালীন বেঞ্চে তাঁকে তোলা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। গোয়েন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, সায়গল তদন্ত সহযোগিতা করছে না, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই ইডি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে জানা গিয়েছে।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে গত জুন মাসে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সায়গলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তদন্তে নেমে কেষ্টর দেহরক্ষীর যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে, তাতে চোখ কপালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সায়গলের বেতন বা তাঁর পারিবারিক আয়ের সঙ্গে যার কোনও সঙ্গতি নেই৷ আগেই সিবিআই দাবি করেছিল যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি। সম্পত্তির একটা তালিকাও প্রকাশ্যে এসেছিল।