কলকাতা: নির্বাচন কমিশন, মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করে দেখবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে তাদের মোতায়েন করতে হবে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে দায় থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। প্রযোজনীয়তা থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি জানান হয়েছে, বিধাননগর নিয়ে ১২ ঘন্টার মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ডিজি, সিপি, হোম সেক্রেটারি, কমিশনকে।
আরও পড়ুন- মমতার নির্দেশ অমান্য! অরূপকে সরিয়ে কোর্অর্ডিনেটরের দায়িত্বে কুণাল ঘোষ ও সওকত মোল্লা
আদালত আরও জানিয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না নেওয়া হয় তাহলে যে কোনও গোলমালের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ওপর বর্তাবে। সেই কারণেই বৈঠক করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরকেই। একই সঙ্গে সমস্ত পুরসভার ফলাফল ঘোষণা হোক, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তারা চার পুরনিগমের ভোট এবং ১০৮টি পুরসভার ভোটের গণনা একসঙ্গে ফলাফল ঘোষণা করবে কিনা। অন্যদিকে, পোলিং এজেন্টদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, এজেন্টদের তাদের ওয়ার্ডের পরিধি থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার আদালত জানিয়েছে, পুরভোটে পোলিং এজেন্টদের নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
১২ ফেব্রুয়ারি চারটি পুর নিগমের ভোটে সব বুথ উত্তেজনা প্রবণ। তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। এই নির্বাচনে মোট ৯ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে বুথের নিরাপত্তা থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ। এছাড়াও থাকবে কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড। এই চার পুর নিগমের জন্য ১২ জন পর্যবেক্ষক এবং একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকছেন। উল্লেখ্য, এই চার পুর নিগম হল বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৯৫৩ জন।