কলকাতা: রাইসিনা হিলসে ময়ূরভঞ্জের আদিবাসী কন্যা। আদিবাসী সমাজের একজন প্রতিনিধিকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসাতে চেয়েছিল বিজেপি। সেই চাওয়া পূর্ণও হয়েছে৷ দেশ পেল তার প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি৷
আরও পড়ুন- Breaking: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, ধনকড়কে কোনওভাবেই সমর্থন নয়
রাষ্ট্রপতি হিসাবে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটমূল্য ছিল ৫,৪০,৯৯৬। তৃতীয় রাউন্ড গণনার পরেই দ্রৌপদী পেয়ে যান ৫,৭৭,৭৭৭ মূল্যের ভোট। তখনও বাকি পড়ে রয়েছে আটটি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোট গণনা। অন্য দিকে সেই সময় বিরোধী জোট সমর্থিত প্রার্থী যশবন্ত সিন্হার প্রাপ্তি ২,৬১,০৬২ মূল্যের ভোট। সবকটি রাউন্ডের গণনার শেষে দ্রৌপদী পেলেন ৬,৭৩,৮০৩ মূল্যের ভোট। যশবন্ত পেলেন ৩,৮০,১৭৭ মূল্যের ভোট। রিটার্নিং অফিসার পিসি মোদী জানান, ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। অন্য দিকে, যশবন্তের ঝুলিতে এসেছে ৩৪ শতাংশ ভোট।
তবে উল্লেখ্য বিষয় হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলা বিধানসভায় হল ক্রস ভোটিং৷ ২৯১টি ভোটের মধ্যে তৃণমূলের ভোট পড়ল ২১৬টি৷ ২৯১টি ভোটের মধ্যে বিজেপির ভোট ৭১। বাংলা বিধানসভায় ২৯১টি ভোটের মধ্যে বাতিল হল ৪টি ভোট। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল ৭০টির বেশি ভোট পড়লে বুঝতে হবে ক্রস ভোট হয়েছে। সেই অঙ্ক মেলালে বাংলা বিধানসভায় একটি ভোট বেশি পেয়েছে বিজেপি। ২৯৪টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েনি ২ জনের৷ ভোটদানে বিরত ছিল আইএসএফ৷
ভোটের দিন বাসে করে বিধানসভায় এসেছিলেন বিজেপি’র ৬৬ জন বিধায়ক৷ আলাদা গাড়িতে করে ভোট দিতে যান বিজেপি’র তিনজন বিধায়ক৷ অর্জুনপুত্র পবন সিং-এর ভোট ধরেই বিজেপি’র ভোট পড়ার কথা ছিল ৭০টি৷ সেখানে পড়ল ৭১টি ভোট৷ কার একটি ভোট গেল বিজেপি’র ঘরে? তৃণমূলের ২২১টি ভোট ধরলেও রয়েছে ৪টি ভোট বাতিলের প্রশ্ন৷
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে ২৯২ জন বিধায়কের মধ্যে ২৯১ জন ভোট দিয়েছিলেন৷ এর মধ্য যশবন্ত সিনহার পক্ষে ভোট গিয়েছে ২১৬টি৷ দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে গিয়েছে ৭১টি ভোট৷ ৪টি ভোট বাতিল হয়েছে৷ শুভেন্দুর দাবি ছিল ৭০টি ভোট তাঁরা পাবেনই৷ এর থেকে বেশি হলেই ধরে নিতে হবে ক্রস ভোট৷ যে চারটি ভোট বাতিল হয়েছে, ধরে নিতে হয় সেগুলি বিজেপি’র ভোট নয়৷ আর যে একটি ভোট বিজেপি বাড়তি পেয়েছে, সেটি কার ভোট? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এদিকে রাষ্ট্রপতি ভোটের আগে বিধায়কদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁদের বোঝানো হয়েছিল কী ভাবে ভোট দিতে হবে৷ এর পরেও চারজন বিধায়কের ভোট বাতিল হয়ে গেল৷ অর্থাৎ তাঁরা জানেনই না কী ভাবে রাষ্ট্রপতি ভোট দিতে হয়৷ অন্যদিকে, মুর্মুর জয় নিশ্চিত হতেই টুইট করেন শুভেন্দু৷ টুইটে ক্রস ভোটের দাবি জানান তিনি৷ এবং এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবেই বিজেপি শিবিরের পাল্লা ভারী করল৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>