কলকাতা: বাগুইআটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তদন্ত পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে সিআইডি। এদিন খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি পরীক্ষা করে তারা, সঙ্গে ছিল ফরেনসিক দল। জানা গিয়েছে, ওই গাড়ি থেকে ৭টি পৃথক আঙুলের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে লাগানো বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এই গাড়িটিতেই বাগুইআটির ২ কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতার ৬ আত্মীয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা, ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের
জানা গিয়েছে, সাট্টা খেলতে গিয়ে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর কাছে কয়েক হাজার টাকা ঋণ নেয় দুই কিশোর। ইচ্ছা ছিল দামই বাইক কেনার। সত্যেন্দ্রর বাইকের পার্টস আর সার্ভিসের দোকান ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি সে ভাড়া নিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। তাই সিআইডির পক্ষে ওই ৭টি পৃথক আঙুলের ছাপ আদতে কার কার সেটা বের করতে বেগ পেতে হবে কারণ ২৩ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ভাড়ার গাড়ি আরও অনেকে ব্যবহার করে থাকতে পারেন বলেই মত। সিআইডি এও জানতে পেরেছে, খুনের দিন গাড়িতে অন্তত ৮ জন ছিল। ৫ জনের গাড়িতে ৮ জন কী ভাবে উঠল, সেটাও কারোর নজরে পড়ল না কেন, তাও অবাক করছে তাদের।
এদিকে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর স্ত্রী পুজার সঙ্গে মেলামেশা ছিল অতনুর। যদিও তাকে দিদি বলে ডাকত সে, কিন্তু দুজনের এই মেলামেশা একদমই পছন্দ ছিল না সত্যেন্দ্রর। তাঁদের বাড়িতে অতনুর নিত্য আনাগোনাও অপছন্দ ছিল তার। অনুমান করা হচ্ছে, সত্যেন্দ্র শুধু অতনুকেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল বহু দিন ধরে, অভিষেক শুধু পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।