কলকাতা: নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আদালত আরও এক রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সেই রিপোর্টে একটি সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে যারা ওএমআর শিট মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল। সিবিআই জানিয়েছে, ওই সংস্থার নাম ‘নায়সা কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেড’ (NYSA)। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ওএমআর শিট মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল তাদের।
আদালতে দেওয়া রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, সমস্ত আসল ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসেই স্ক্যান করা হয়েছিল। মূল্যায়নের পরে নম্বর সম্বলিত চূড়ান্ত তালিকা কমিশনকে দেয় এই সংস্থা। নম্বর পাওয়ার পর কমিশন সেটা নিজেদের ডেটাবেসে আপলোড করে। গোয়েন্দা সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে তারা তিনটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। এখানেই ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি এবং নম্বর ছিল। তিনটি হার্ডডিস্ক এবং কমিশনের ডেটাবেস পরীক্ষা করে দেখা যায় যে বিস্তর কারচুপি করা হয়েছে, এমনই দাবি সিবিআইয়ের।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দু’দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু সেই তালিকা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, চাকরি না পাওয়ার পরেও ভুয়ো সুপারিশের তালিকায় তাঁদের নাম এসেছে। এটা কী ভাবে সম্ভব, প্রশ্ন তুলেছেন তারা। কেউ কেউ বলছেন, এই তালিকাতেও দুর্নীতি হয়েছে৷ আড়াল করা হয়েছে প্রকৃত ভুয়ো প্রার্থীদের৷ সব মিলিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন অভিযোগ অভিযোগে জর্জরিত।