কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় রাজ্যে। তবে আজই সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিট গঠন করে আদালতে জানাল সিবিআই। আদালতকে তারা বলেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ডিরেক্টর অথবা জয়েন্ট ডিরেক্টর তদন্ত ভার নিচ্ছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলায় CBI-এর দ্বিতীয় নোটিসে সাড়া, নিজাম প্যালেসে শওকত মোল্লা
এদিন বিচারপতি বলেন, ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সিবিআই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই তিনি আশাবাদী। কিন্তু এদিন আদালত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসকে বলে যে, তিনি সারা দেশ বাসীর কাছে খুব পরিচিত। তিনিই রঞ্জন সম্পর্কে বলছেন তিনি সৎ! এই কথার পর উপেন বলেন, ‘আমি মনে করছি ACP নির্দিষ্ট নাম বলুক, নির্দিষ্ট জয়েন্ট ডিরেক্টর নাম উল্লেখ করুক সিবিআই। কারণ বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবেই সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করছি আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত করুক। যাতে ইচ্ছে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী সেখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারেন। সিবিআই যে টিম গঠন করবেন যেখানে যতজন সদস্য থাকবেন তাঁদের শুধুমাত্র এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলারই তদন্ত করবেন। তাঁরা যাতে অন্য কোন মামলায় তদন্ত না করেন। যাঁরা এই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। যাতে পরে আদালতের কাছে কোন ধোঁয়াশা না থাকে।’ তবে রঞ্জন তিনি জানিয়েছেন, ‘রঞ্জন আমার কাছে একটি কাল্পনিক চরিত্রের মতো। যাঁরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তাঁদের কাছে শুনেছি রঞ্জন নাম। জানতে পেরেছি রঞ্জন কাল্পনিক হলেও মূল ব্যক্তি চন্দন।’ আসলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলায় আদালতে উঠে আসে উপেন বিশ্বাসের ইউটিউব ভিডিয়োর রঞ্জন-প্রসঙ্গ। তারপরই বাড়ে বিতর্ক।