কলকাতা: দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সমস্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি সহ আরও বেশি কয়েকটি দাবি নিয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে বার্তা দেওয়া হয়। নিয়োগ ছাড়াও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কয়েকটি দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থী, মামলার পর মামলা! কবে কাটবে নিয়োগ জট?
সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি দেশবাসীর অজানা নয়। সর্বত্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে। পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতি থেকে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাগণ জেল হেফাজতে রয়েছেন। অন্যদিকে বঞ্চিতরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গান্ধী মূর্তি এবং মাতঙ্গিনী মূর্তি পাদদেশের আন্দোলন প্রায় ৬০০ দিন হতে চলল কিন্তু নেতাদের আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। এদিকে টেট সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে তাদের বক্তব্য, টেটের ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছে। কিন্তু পূর্বের বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে না। এমনকি ২০১৪ সালের টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুল প্রমাণিত হয়েছে, দু’বার ইন্টারভিউ হয়েছে কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালে সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন। তখন প্রায় ৩১হাজার চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে নিয়োগের নিদান দিয়েছিলেন। কিন্তু তা নিষ্পত্তি না করেই পুণরায় নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। এখানেই বিপত্তি।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বলছে, ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের একত্রে ইন্টারভিউ দিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে পুরনোরা বঞ্চিত হবে। এই আশঙ্কা থেকেই বঞ্চিতরা করুনাময়ীতে আন্দোলন শুরু করেছেন। সমিতির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করা হয়েছে। এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নিয়োগের কোনও সদিচ্ছা নেই। শিক্ষামন্ত্রী গত বিধানসভার অধিবেশনে প্রাথমিকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও টেট উত্তীর্ণদের সকলকে নিয়োগের জন্য শূন্যপদ প্রকাশ করা হয়নি। অথচ ২০১৪ সালের টেটে উত্তীর্ণদের দু’বার ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারাই পাশ না করতে পারবার জন্যই নাকি নিয়োগ দেওয়া যায়নি বলে পর্ষদ সভাপতি বলছেন, যা নিতান্তই অমূলক।