কলকাতা: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ট্রেনিং প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ীতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অনশন অবস্থান আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে পুলিশ ‘জোর করে’ তাদের নিউটাউন থানায় তুলে নিয়ে যায়। তাতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘তাঁর নাটক ধরা পড়ে গেছে’, মমতাকে তুলোধনা করলেন অগ্নিমিত্রা
এই সংগঠনের বক্তব্য, প্রাথমিকে ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। তাতে ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ ট্রেনিং প্রাপ্ত সকলে আবেদন করতে পারবেন। ফলে ২০১৪ সালের প্রার্থীরা পিছিয়ে পড়বেন এবং এটাই স্বাভাবিক। এই আশঙ্কায় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ট্রেনিং প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীদের সরাসরি নিয়োগের দাবিতে গত ১৮ অক্টোবর থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে যা হল তার পাশাপাশি শিক্ষা আন্দোলনের ওপর এহেন আক্রমণের প্রতিবাদে আজ সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, হাওড়ার বাগনান, বীরভূমের রামপুরহাট, মুর্শিদাবাদের ডোমকল সহ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নিয়োগের কোনও সদিচ্ছা নেই। নিয়োগের নামে খেলা হচ্ছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভকে প্রশমিত করার কৌশল চলছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগের ঘোষণা করে বলেছিলেন ধাপে ধাপে সকল টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত তা সম্পূর্ণ হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর দাবি, অবিলম্বে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের সকলকে একত্রে নিয়োগের জন্য শূন্যপদ প্রকাশ করে মেধা তালিকার ভিত্তিতে দুর্নীতিমুক্তভাবে নিয়োগ হোক।