কলকাতা: বোলপুরের বাড়ি থেকে নাটকীয় ভাবে আটক অনুব্রত মণ্ডল৷ সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হল ইসিএল-এর শীতলপুরের গেস্ট হাউসে৷ এখানেই অ্যারেস্ট মেমোয় স্বাক্ষর করবেন বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি। পরে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে, অনুব্রতর আসার খবর পেয়েই শীতলপুর গেস্ট হাউজের সামনে জড়ো হন বিজেপি সমর্থকরা৷ গেস্ট হাউসের বাইরে অনুব্রতর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা৷ তাঁকে গোরু চোর বলে বিক্ষোভও দেখানো হয়৷
আরও পড়ুন- পার্থর পদ ছিনিয়ে নিতে লেগেছিল ৬ দিন, অনুব্রতকে নিয়ে কী পদক্ষেপ নেবে তৃণমূল?
জানা গিয়েছে, এতদিন অনুব্রতকে সিআরপিসি’র ১৬০ (সাক্ষী) নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল, এদিন তাঁকে ৪১ (এ) নোটিস দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ অভিযুক্ত হিসাবে নোটিস দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে৷ এর পর আজ সকাল ১০টার কিছু আগে অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রচুর জওয়ান। সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সমস্ত দরজায় তালা বন্ধ করে দেন। কমলা রঙের লোহার গেটে ভিতের থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। অন্যদিকে, বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ জওয়ানরা৷
অনুব্রতর বাড়ির পাশে গ্যারেজের গেট গিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এই গ্যারেজে বসেই দলীয় কাজকর্ম করে থাকেন কেষ্ট৷ বাড়ির ভিতরে ঢুকে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন। প্রথমে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। শেষমেশ জানতে পারেন ঠাকুরঘরের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে৷ এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে আরও একটি হেভিওয়েট নেতা ধরা পড়তেই অস্বস্তিতে তৃণমূল৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>