কলকাতা: একের পর এক বড় বড় মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ এসেছে তাঁর থেকে। এক কথায় বলা যেতে পারে, রাজ্য সরকারের কাছে এখন ‘ত্রাস’ হয়ে উঠেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্তত বিরোধীরা এমনটাই দাবি করছেন। তবে এই বিচারপতির মানবিক রূপও সকলের সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থী ক্যানসার রোগী সোমা দাসের পক্ষ নিয়ে মানবিকতায় ভরা আবেদন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার আরও এক কাণ্ড ঘটালেন তিনি যা সত্যিই মানবিক।
আরও পড়ুন- ২০১৬-র পর হয়নি পরীক্ষা, কবে হবে জানা নেই, দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ এসএসসি
আসলে আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাস থেকে ওঠার সময়ে ক্ষণিক সময়ের জন্য আটকে যান। কারণ অনিন্দিতা বিশ্বাস নামক এক মহিলা কাতর আবেদন নিয়ে হাজির হন তাঁর কাছে। তাঁর আবেদনের জন্যই জরুরিভিত্তিতে মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গত ১২ মে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁকে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁকে স্থানান্তর করে দেবেন। কিন্তু তা করেননি। এই অভিযোগ তুলেই আজ আদালতে সরব হয়েছিলেন ওই মহিলা। বিচারপতি তাঁর কথা শুনে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। স্পষ্ট জানিয়েছেন, এসএসসির সচিবকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে স্থানান্তর করতে হবে।
এমনিতেই দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এই মুহূর্তে হাইকোর্ট চত্বরে সবচেয়ে বেশি আলোচিত এই বিচারপতির নামই। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত থেকে শুরু করে ৭৬ বছরের প্রৌঢ়ার ২৫ বছরের বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ— একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ রায়ে হাই কোর্ট পাড়ায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিহিত জনগণের বিচারপতি হিসেবেই।