লালবাজারে বিকানের বিল্ডিং-এ তালা ভঙে CID অভিযান, উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে টাকা

লালবাজারে বিকানের বিল্ডিং-এ তালা ভঙে CID অভিযান, উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে টাকা

কলকাতা: ফের টাকা উদ্ধার খাস কলকাতায়৷ সিআইডি তল্লাশিতে বিকানের বিল্ডিং-থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধার৷ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছে টাকা গিয়েছিল৷ ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন সিআইডি’র উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা৷ 

আরও পড়ুন- তৃণমূলের ১০০ নাম দিয়েছি! অমিত সাক্ষাতের পর বললেন শুভেন্দু

এদিন বিকানের বিল্ডিংয়ে মহেন্দ্র আগরওয়ালের অফিসে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে সিআইডি৷ সেখান থেকেই কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন অফিসাররা৷ টাকার পরিমাণটা এখনও জানা যায়নি৷ এদিকে মহেন্দ্র আগরওয়াল পলাতক৷  এর পরেই প্রশ্ন উঠছে হাওড়া থেকে গ্রেফতার তিন কংগ্রেস বিধায়কের টাকা কি খাস লালবাজার চত্বরেই রাখা ছিল? কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের ঠিক উল্টোদিকের  বাড়িতে হানা দিয়েই টাকা উদ্ধার করল রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা সিআইডি। মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির একটি লালবাজারের বিকানের ভবনে পৌঁছয়। এর পরেই শুরু  হয় তল্লাশি অভিযান৷

শনিবার রাতে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে। একটি কালো গাড়ি করে ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ তাঁদের গাড়িতে ছিল ৪৯ লক্ষ টাকা। সিআইডি সূত্রে খবর, সেই টাকা কংগ্রেসের বিধায়কদের হাতে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত রাখা ছিল এই বিকানের ভবনেই। এমনকি ওই টাকা লালবাজারের এই বাড়িতেই হাতবদল হয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান। 

উল্লেখ্য হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডগামী গাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঘটনাটির তদন্তে নেমে উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যও। ঝাড়খণ্ডেরই এক কংগ্রেস বিধায়ক থানায় অভিযোগ করেন, ‘হাওড়া পুলিশের হাতে ধৃত তিন কংগ্রেসি বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় আসতে বলেছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে গুয়াহাটিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।’