কলকাতা: গত বারের মতো এবারেও সব ধরনের কোভিড বিধি মেনে দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে হবে। এই বলে পুজো কমিটিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা বিধি মেনে সব প্যান্ডেলে মাস্ক-স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিয়মিত স্যানিটাইজেসনের উপরেও তিনি জোর দিয়েছেন। ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে পুজোর দিনগুলিতে রাতে এবং বিসর্জনের কার্নিভালে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা পরিস্থিতির উপরে বিচার করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। ক্লাব সংগঠনগুলিকে প্রশাসনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উপরেও তিনি জোর দেন।
আরও পড়ুন- ‘দিলীপবাবুর নেতৃত্বটাই তো প্রশ্নচিহ্নের মুখে’, পাল্টা আক্রমণ চন্দ্রিমার
পুজো কমিটি গুলির সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জানান, সরকার সমস্ত রকম পদক্ষেপ করছে যাতে উৎসবের মরসুমে ভালো ভাবে কাটাতে পারে সকলে কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়মবিধি মানতে হবে। পুজো করতে কোন অসুবিধা নেই তবে মাস্ক পড়তেই হবে এবং একই সঙ্গে সচেতন থাকতে হবে। মমতা জানান, মণ্ডপের মধ্যে মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে ক্লাব চত্বরে সমাবেশ করতে হবে। যদিও পুজোর সময় ঠাকুর দেখা যাবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে এই ব্যাপারে নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ১৭৩টি শূন্যপদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ
এদিকে, রাজ্য সরকার আসন্ন দুর্গোৎসবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদি বলেন, কোভিডের কারণে অনেক পুজো কমিটি স্পনসর না পাওয়ায় গত বছরের মতো এইবারেও একই হারে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুজো করার জন্য দমকল ফিজের সবটাই এবং বিদ্যুৎ বিলে পঞ্চাশ শতাংশ মুকুব করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। গতবছর সরকারি ভাবে পুজো কমিটিগুলিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল এইবারেও তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আদর্শ আচরণবিধির কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই ঘোষনা করতে না পারায় তিনি সেই কাজটা করলেন বলেও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।
