দিনে ৮ লক্ষ টাকা ‘তোলা’! CBI হানা দিতেই বীরভূমে ভাঙা হল ৪০টি অবৈধ টোল কিয়স্ক

দিনে ৮ লক্ষ টাকা ‘তোলা’! CBI হানা দিতেই বীরভূমে ভাঙা হল ৪০টি অবৈধ টোল কিয়স্ক

বোলপুর: গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে বোলপুরে  হানা দিয়েছে সিবিআই৷ একের পর এক চালকলে চলছে তল্লাশি৷ আর বোলপুরে সিবিআই ঢুকতেই বেআইনি টোল বুথগুলি ভেঙে দেওয়া হল। অভিযোগ,  ওই সমস্ত টোল কিয়স্কগুলি চালাতেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শুধু তাই নয়, এক একটি কিয়স্ক থেকে দিনে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা টোল আদায় করা হত। রমরমিয়ে চলত এই ‘ব্যবসা’৷ টাকা তোলা হত জেলা পরিষদের নামে৷ তবে কি সিবিআই-এর ভয়েই বন্ধ কর দেওয়া হল এই টোল কিয়স্কগুলি? 

আরও পড়ুন- ‘প্রভাবশালী’ অনুব্রতকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতে চায় CBI, কেষ্ট বললেন, ‘বললেই হয়ে যাবে নাকি’?

এই টোলগুলি নিয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর যাঁরা সাহস করে মুখ খুলেছেন, তাঁরা বলছেন বীরভূমজুড়ো প্রায় ৪০টি বেআইনি টোল কিয়স্ক রয়েছে৷ এগুলি থেকে টাকা তুলতেন শাসক দলের নেতারা। বীরভূম জেলা পরিষদের স্ট্যাম্প দেওয়া এই টোল বুথগুলিতে ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকার কুপন দেওয়া হত। গাড়ির চালকরা বলছেন, এখানে সব গাড়ি আটকানো হত৷ কোনও গাড়িই ছাড় পেত না৷ টাকা দিয়েই এখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতেন৷ 

শুধু তাই নয়, এই বেআইনি টোলগুলিকেই আইনি রূপ দেওয়া হয়েছিল৷ বোলপুরের সে রাস্তা ধরে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা, মন্ত্রীরা যাওয়া আসা করতেন, যেখানে পুলিশ গাড়ি চেক করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, সেই রাস্তার ধারে একেবারে পিডব্লিউডির জায়গার উপরেই একটি নীল-সাদা ঘরে নেওয়া হত টোল। সেখানে আবার সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছিল। বসানো ছিল বৈদ্যুতের মিটার। যাতে সবটাই ‘সাদা’ বলে মনে হয়৷ 

কিন্তু  রাতিরাতি কেন বন্ধ হয়ে গেল সেই বুথগুলি? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বোলপুর শহরের কিছুটা দূরে রয়েছে ২বি জাতীয় সড়ক। এই রাস্তা ধরে  খুব সহজেই কলকাতা থেকে বোলপুর, শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ বা উত্তরবঙ্গে যাওয়া যায়। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট-বড় গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে৷ বীরভূম থেকে বর্ধমানের দিকে অবন সেতুর ঠিক মুখে ঘেরোপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছিল একটি নীল-সাদা টোল বুথ। সেই কাউন্টার থেকে জেলা পরিষদের নামে রসিদ ছাপিয়ে দিনের পর দিন বেআইনি ভাবে টোল আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেখানে গাড়ি পিছু ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত টোল নেওয়া হত বলে অভিযোগ।  সেই বুথও আচমকা উধাও৷