কলকাতা: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দাবিতে গত ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। ওই ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে সেদিন স্কুলে উপস্থিত হননি সরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও৷ সেইসব শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে শিক্ষা দফতর৷ সূত্রের খবর, রাজ্যের ২০ হাজার ধর্মঘটী শিক্ষককে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- চারদিনেই নাজেহাল! তিহাড়ে মন বসছে না কেষ্টর, আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আবেদন
ধর্মঘটের আগের দিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন৷ নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ওই দিন কেউ ছুটি নিলে পদক্ষেপ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল। ধর্মঘটে যোগ দিয়ে কেউ কাজে যোগ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, ওই দিন ছুটি নিলে কর্মজীবন তথা সার্ভিস রেকর্ড থেকে ১ দিন বাদ দেওয়া হবে।
সরকারের কড়া নির্দেশের পরেও দেখা গিয়েছে বহু সরকারি কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। শুধু সরকারি কর্মীরাই নন, স্কুলে আসেননি বহু শিক্ষক৷ সরকারি কর্মচারীদে বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিস পাঠানো শুরু করেছে সরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে নোটিস জারি করা না হলেও দফতর ভিত্তিতে অনেক কর্মচারীই শোকজ নোটিস হাতে পেয়েছেন। এবার শিক্ষা দফতরের তরফে ধর্মঘটী শিক্ষকদের শোকজ নোটিস পাঠানো হল৷
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের একদিনের বেতনও কাটা হচ্ছে৷ কাদের কাদের বেতন কাটা হচ্ছে তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, সরকারের শোকজ নোটিস পাওয়ার পর জবাব দিতে শুরু করেছেন ধর্মঘটীরাও৷ তাঁদের যুক্তি, নিয়ম মেনেই তাঁরা নায্য দাবির পক্ষে ধর্মঘট করেছেন। তবে শিক্ষকদের সেই জবাব পছন্দ হয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরের। তাই বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>