কফিন বন্দি রানির দেহ, পোডিয়ামে মুর্চ্ছা গেলেন রয়্যাল গার্ড

কফিন বন্দি রানির দেহ, পোডিয়ামে মুর্চ্ছা গেলেন রয়্যাল গার্ড

লন্ডন:  ওয়েস্টমিনস্টার হল। পোডিয়ামের উপর কফিনে শায়িত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত অগণিত মানুষ। মহারানির মরদেহ ঘিরে রেখেছে রয়্যাল গার্ড। এমন সময় হঠাৎই ছন্দপতন। রানির কফিন ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা এক রক্ষী হঠাৎই মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন ব্রিটিশ পুলিশের দুই অফিসার ও আরও এক ব্যক্তি৷ তাঁরা ওই রক্ষীকে তোলার চেষ্টা করেন। এতক্ষণ পর্যন্ত রানির শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল টিভির পর্দায়। কিন্তু ওই রাজ রক্ষী পড়ে যেতেই কয়েক মিনিটের জন্য সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এরপর অবশ্য আর কোনও সমস্যা হয়নি। রাজকীয় রীতি মেনেই রানিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে, ওই রক্ষীর পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্রিটেনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরালও হয়ে গিয়েছে ভিডিয়োটি। কিন্তু কেন হঠাৎ ওই রয়্যাল গার্ড পড়ে গেলেন, তা জানা যায়নি৷ মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার ফলেই তিনি সংজ্ঞা হারান৷ 

আরও পড়ুন- নাটকীয় ভাবে কমছে! কোভিডের শেষ কি দেখতে পাচ্ছে ‘হু’

গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৬ বছরের রানি৷ মঙ্গলবার তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় লন্ডনের রাজবাড়িতে৷ ১৪ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেস থেকে শেষবারের জন্য বার করে আনা হয় রানির মরদেহ৷ সেখান থেকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শায়িত হন রানি। প্রাচীন রাজকীয় রীতিনীতি মেনে হলের মাঝে একটি পোডিয়ামের উপর রাখা হয় রানির কফিন৷ এই পোডিয়ামটিকে বলে ‘ক্যাটাফাল্‌ক’। কফিন ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন রয়্যাল গার্ডের সদস্যরা৷ সেখানেই ঘটে এই বিপত্তি৷ 

বৃহস্পতিবারও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপচে পড়েছিল ভিড়। বুধবার বিকেল থেকেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল হলের গেট৷ হাজার হাজার মানুষ লাইন দিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার হলে ঢুকে প্রয়াত রানিকে শেষশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন৷ বুধবার বিকেলে হলের বাইরে  প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে৷ 

এদিকে, বৃহস্পতিবার ছিল প্রয়াত রানির নাতি প্রিন্স হ্যারির জন্মদিন। স্ত্রী মেগানের সঙ্গে কালো পোশাকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে উপস্থিত হন তিনি। রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা প্রিন্স উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী কেট।