আদৌ কি গৃহবন্দি জিনপিং? নাকি তৃতীয়বার মসনদে বসার অপেক্ষায়?

আদৌ কি গৃহবন্দি জিনপিং? নাকি তৃতীয়বার মসনদে বসার অপেক্ষায়?

cb6d4f807523675218b81f03f52275ac

বেজিং: চিনে সামরিক অভ্যুত্থান থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর গৃহবন্দি হওয়ার খবরে তোলপাড়া সোশ্যাল মিডিয়া৷ গোটা বিশ্ব বলছে, চিনে ‘কিছু একটা ঘটছে’৷ এমন ভাবনার পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে৷ যেমন- চিনে একের পর এক উড়ান বাতিল হওয়া, বেশ কিছু দিন ধরে প্রেসিডেন্টের অন্তর্ধান এবং সর্বোপরী রাজধানী বেজিংয়ের দিকে সামরিক গাড়ির ছুটে যাওয়ার ফুটেজ ভাইরাল হওয়া৷ যদিও এসব নিয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি৷ 

আরও পড়ুন- চিনে সেনা অভ্যুত্থান? গৃহবন্দি শি জিনপিং? সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন

গত কয়েকদিন ধরে যে নাটক চলছিল, তাতে সম্ভবত এবার ইতি পড়তে চলেছে৷ আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বেজিং-এ শুরু হতে চলেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি বা CCP-র ২০ তম সম্মেলন৷ সেখানেই বেছে নেওয়া হবে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে৷ জোর জল্পনা, তৃতীয়বারের জন্য চিনের মসনদে ফিরছেন শি জিনপিং৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, নয়া প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে ২ হাজার ২৯৬ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷ তবে এরই মধ্যে জোর গুঞ্জন চিনে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে গিয়েছে এবং গৃহবন্দি করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে৷ যদিও এই খবরের সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷ তবে ৫৯ শতাংশ ফ্লাইল বাতিল এবং বেজিং-এর উদ্দেশে সামরিক যানের এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা নানা প্রশ্ন তুলেছে৷  

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর গৃহবন্দি হওয়ার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লেও, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞ মহল। একদল বলছেন, জিনপিং-কে গৃহবন্দি করা হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এত বড় ঘোষণা করত না চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তাছাড়া সত্যিই যদি সেনা অভ্যুত্থান ঘটত, তাহলে এতক্ষণে সামরিক কর্তারা প্রকাশ্যে তাঁদের ক্ষমতা দখলের কথা জাহির করে ফেলতেন। ক্ষমতা হাতে নিয়েই তারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলির সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি৷ আর সেটা যখন হয়নি তখন ধরে নিতে হবে, সেনা অভ্যুত্থান বা জিনপিংকে গৃহবন্দির খবরের কোনও সত্যতাও নেই৷ সবটাই আসলে গুজব। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, চিনে জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এ অংশ নিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরই তিনি নিভৃতবাসে রয়েছেন৷ 

তবে এর পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গৃহবন্দি হতেই বিপুল সংখ্যক বিমান বাতিল করা হয়েছে চিনে। শুধু বিদেশি বিমান চিনে ঢুকতে পারছে না তেমনটা নয়, বাতিল হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও। পাশাপাশি, রাজধানী বেজিংয়ে বন্ধ রয়েছে ট্রেন-বাস চলাচল৷ তেমনটাই সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কোভিডের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলে,তা  প্রকাশ্যে বলছে না কেন চিন? এই ধরনের গুজব বন্ধ করার কোনও উদ্যোগই বা কেন নেওয়া হচ্ছে না?