ওয়াশিংটন: করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি৷ চাকরি হারিয়ে বেকার লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ তবে এরই মধ্যে উঁকি দিচ্ছে আশার আলো৷ বেশ কিছু সংস্থায় বাড়ছে কর্মী নিয়োগ৷ বাড়ছে ঋণের বাজার৷
আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসে কারচুপি রুখতে বড় পদক্ষেপ, বাধ্যতামূলক হচ্ছে OTP
টেক্সালসের ফ্রিসকো ইভলভ মর্টগেজ সার্ভিসেস-এর চিফ এক্সিকিউটিভ পল অ্যানসেলমো বলেন, গত ৯০ দিনে তারা ১২০টি গৃহঋণ দিয়েছে৷ চলতি বছরের শেষে আরও ১০০টি গৃহঋণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের৷ হোম-মর্টগেজ মার্কেটও ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে৷ স্বল্প সুদের হার লক্ষ লক্ষ আমেরিকানকে পুনরায় ফিনান্স করতে উদ্যোগী করেছে এবং ওয়ার্ক ফ্রেম হোম নীতি নতুন বাড়ি কেনার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। আবার মেরিল্যান্ডের মর্টগেজ সংস্থা নিউডে ইউএসএ অতিমারির মধ্যে প্রায় ৩০০ জন কর্মী নিয়োগ করেছে৷ ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আরও ২০০ কর্মী নিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷
ইনলান্টা মর্টগেজেও ১০০ জন অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ করা হবে৷ সংস্থার সভাপতি এবং চিফ অপারেটিং অফিসার পল বুয়েজ বলেন, এর জন্য কলেজ ডিগ্রির কোনও প্রয়োজন নেই৷ তাঁর কথায়, ধীরে হলেও আমাদের অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে৷
করোনা অতিমারির জেরে সৃষ্ট মন্দার মধ্যে দুটি পথ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমত, কিছু সংস্থা এবং কর্মজীবন মন্দা সত্ত্বেও উন্নতির লক্ষণ দেখছে৷ অন্যদিকে ধাক্কা খাচ্ছে হসপিটালিটির মতো ক্ষেত্রগুলি৷ লকডাউন এবং করোনার জেরে গ্রাহকদের মধ্যে যে আচরণগত পরিবর্তন এসেছে তার শিকার হতে হচ্ছে হসপিটালিটি সেক্টরকে৷
আরও পড়ুন- চার মাসে ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পত্তি বেড়েছে এক তৃতীয়াংশ
প্যান্ডেমিক শুরু হওয়ার পর মার্চ এবং এপ্রিল মাসে আমেরিকায় ২২.২ মিলিয়ন লোক চাকরি হারিয়েছিলেন৷ যার ফলে ৩১.৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল আর্থনীতি৷ মে মাসের পর থেকে ১১ মিলিয়ন মানুষ কাজ ফিরে পায়৷ কিছু ক্ষেত্রে যেমন ঋণ সংক্রান্ত বাজার চড়তে থাকে৷ বাড়ে কর্ম সংস্থান৷ গত মাসে আমেরিকা ও কানাডায় ১ লক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিল অ্যামাজন৷ কেননা অধিকাংশ মানুষই এখন ঘরে থেকে অনলাইন শপিং করছেন৷ এর আগে গত মার্চ মাসে ১,৭৫,০০০ গুদাম কর্মী নিয়োগ করেছিল অ্যামাজন৷ যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই কাজে বহাল রয়েছেন৷