নয়াদিল্লি: পুজোর আগে সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন (এলটিসি) ভাউচার এবং স্পেশাল ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স স্কিমের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, যাঁরা নতুন আয়কর ব্যবস্থায় রয়েছেন, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না৷
আরও পড়ুন- আম্বানী ভাইদের জেড প্লাস সুরক্ষা প্রত্যাহারের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্র ও রাজ্য সরকারের কর্মীরাও এই সুযোগ পাবেন৷ নিজেদের পছন্দের জিনিস কেনার জন্য এলটিএ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যে দ্রব্যগুলির জিএসটি ১২ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলির ক্ষেত্রেই এই টাকা খরচ করা যাবে। দাম মেটাতে হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। কেন্দ্রের আশা, এতে জিএসটি সংগ্রহ কিছুটা হলেও বাড়বে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মাথা পিছু ৩৬ হাজার টাকা এলটিসি পাবেন৷ অর্থাৎ যে পরিবারে চার জন সদস্য তাঁর ১.৪৪ লক্ষ টাকা দাবি করতে পারবেন৷ তবে এর জন্য ৪.৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হবে৷ ৪৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়ার জন্য গাড়ি, ফ্রিজ বা ল্যাপটপের মতো পণ্য কিনতে হবে৷
আরও পড়ুন- রিলায়েন্স-ফিউচারের বিরুদ্ধ মামলায় আদালতের রায়ে এগিয়ে অ্যামাজন, অস্বস্তিতে আম্বানী
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস জানাচ্ছে, যে সকল কর্মী এটিসি ভাড়া থেকে তিনগুণ কম ব্যয় করবেন, তাদের আনুপাতিক ভাবে এই টাকা দেওয়া হবে৷ ধরা যাক, চার জনের পরিবারের এলটিসি ৮০ হাজার টাকা৷ ওই কর্মী ১.৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন৷ তবে তিনি ৬০ হাজার টাকার ডিমড এসটিসি ভাড়া এবং সংশ্লিষ্ট কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন৷ কোনও কর্মী যদি আগেই ৮০ হাজার টাকা পেয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে৷
এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত এই প্রকল্প কার্যকর থাকবে৷ এই প্রকল্পের জন্য সরকারের ৫,৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে৷ কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে বাজারে চাহিদা বাড়বে৷