নয়াদিল্লি: সাল ২০২০৷ বিশ্বজুড়ে শুরু হয় মারণ করোনা ভাইরাসের ধ্বংসলীলা৷ বড়সড় ধাক্কা লাগে অর্থনীতিতে৷ করোনার তৃতীয় ঢেউ কিছুটা নিস্তরঙ্গ হতে কিছুটা গতি আসে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে৷ মনে করা হচ্ছিল এবার হয়োত কমবে বেকারত্বের যন্ত্রণা৷ কিন্তু না, অস্বস্তি বাড়িয়ে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান বলছে, গত রবিবার (১৭ এপ্রিল) শহারাঞ্চলে বেকারত্বের হার আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়ে নতুন করে ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। শুধু শহর নয়, বেকারত্ব বেড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। দেশে সার্বিক বেকারত্বের হার ৮.৪৩%। ১০ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে যা ছিল ৭.৩৬% ।
আরও পড়ুন- অ্যামওয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত ৭৫৮ কোটি টাকা
অর্থনীতির অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা ঠিক কোথায়? বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর্থিক বিকাশের পথে অন্যতম বাধা হল মূল্যবৃদ্ধির হার। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া৷ যা দেখে শুধু আমজনতাই নয়, প্রমাদ গুনছে শিল্পও। মূল্যবৃদ্ধির জেরে কমছে সার্বিক চাহিদা৷ তার উপরে খরচে রাশ টানতে বহু সংস্থা উৎপাদন এবং পরিষেবার সঙ্গে সমঝোতা করছে৷ ফলে ধাক্কা খাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ কোথাও আবার চলছে কর্মী ছাঁটাই। অথচ কাজের বাজারে ভিড় ক্রমশ বেড়েছে। শ্রম-অর্থনীতিবিদ তথা এক্সএলআরআইয়ের শিক্ষক কে আর শ্যাম সুন্দর, পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত – তিন জনই সাপ্তাহিক বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন লাগমহীন মূল্যবৃদ্ধিকে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি-
• মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।
• একদিকে রয়েছে বিক্রি কমের আশঙ্কা৷ অন্যদিকে, চড়া কাঁচামালের দাম৷ এমতাবস্থায় উৎপাদন খরচ বাড়ায় বহু সংস্থা উৎপাদনের হার কমিয়ে দিয়েছে। পরিষেবার খরচে রাশ টানা হচ্ছে৷ ফলে চলছে কর্মী ছাঁটাই৷
• করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কমার পর সে সকল সংস্থা ভেবেছিল কর্মী বাড়াবে, তাদের একটা বড় অংশ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেছে৷
• শিল্পের আশঙ্কা, মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে গিয়ে সুদের হাক বাড়ানো হলে চাহিদা হয়তো আরও কমে যাবে৷
• অতিমারির প্রভাব কমতে চাকরির বাজারে ভিড় অনেকটাই বেড়েছে, অথচ সেই তুলনায় কাজ কম।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>