কলকাতা: তাঁর উচ্চতা ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিলার স্বীকৃতি রয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবার বিমান সফর করেন বছর ২৪ এর ওই তরুণী৷ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে সান ফ্র্যান্সিস্কো পৌঁছন রুমেসা গেলগি৷ তবে আর পাঁচ জনের মতো সেই সফর ছিল না৷ এর জন্য বেশ কসরৎ করতে হয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে৷ তিনি যাতে আরামে যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারেন, সেজন্য ফ্লাইটের ছয়টি ইকোনমি সিট সরিয়ে দেওয়া হয়৷ সেখানে রাখা হয় তাঁর স্ট্রেচার৷ হাসি মুখে তাঁর দেখভাল করেন বিমানসবিকারাও৷ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে ১৩ ঘণ্টার যাত্রাপথ অতিক্রম করেন বিশ্বের দীর্ঘতম নারী৷
আরও পড়ুন- ‘ভারতবাসী আমার পা ধুয়ে জল খেয়েছে’, দাবি নোবেলের
ছোটবেলাতেই উইভার সিনড্রোম নামক বোন ওভারগ্রোথ অসুখে আক্রান্ত হন রুমেসা গেলগি৷ যার কারণেই এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তাঁর৷ এখন ঠিক মতো চলাফেরাও করতে পারেন না৷ প্রয়োজন পড়ে হুইল চেয়ারের৷ বিমান সফরের ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “এটি আমার জীবনের প্রথম ফ্লাইট৷ তবে শেষ ফ্লাইট নয়। এবার থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যাব৷ এতে খুবই আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করব।” তাঁর যাত্রায় সহযোগী হওয়ায় বিমানের সব কর্মীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন গেলগি৷
সম্প্রতি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর উপর নিজের কেরিয়ার তৈরি করতে ক্যালিফর্নিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। এছাড়াও আগামিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে খবর৷ ২০১৪ সালের বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কিশোরী হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত মহিলার শিরোপাও পান তিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>