নয়াদিল্লি: আপাতত দেশের বাইরে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ মা তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসা করাতে বিদেশে গিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সংসদের গতিবিধির উপর পূর্ণ নজর রয়েছে তাঁর৷ সোমবার সংসদে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যের পরই এদিন ফের একহাত নিলেন রাহুল৷
আরও পড়ুন- বলিউডে মাদক যোগ, রবি কিষাণকে রাজ্যসভায় একহাত নিলেন জয়া বচ্চন
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন৷ প্রথম দিনের সভায় পরিযায়ী ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জারি লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বা কতজন চাকরি হারিয়েছেন সে বিষয়ে কেন্দ্রের হাতে তোনও তথ্য নেই৷ এর পরেই মঙ্গলবার সকালে হিন্দিতে টুইট করেন রাহুল৷ কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মোদী সরকার এটা জানেই না যে লকডাউনের সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বা কতজন চাকরি হারিয়েছেন। তবে আপনারা গোনেননি মানে এই না যে, কোনও পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাননি।’’ রাহুল টুইট করে আরও বলেন, ‘‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল সরকার মানুষের প্রাণের কোনও গুরুত্বই দেয় না৷ বিশ্ব তাঁদের মৃত্যু দেখেছে… কিন্তু মোদী সরকার এবিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত৷’’
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে কড়া লকডাউন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ লকডাউন শুরু হতেই বহু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারান৷ শুরু হয় তাঁদের এক দুর্বিষহ লড়াই৷ মাইলের পর মাইল হেঁটে নিজেদের গ্রামে ফেরেন তাঁরা৷ এই পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তোলেন রাহুল৷ এদিকে সোমবার পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে তাদের হাতে কোনও তথ্য নেই বলে জানায় মোদী সরকার৷ তাই সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নও আসে না বলে জানায় কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন- দেশে ফের হবে লকডাউন? ভুয়ো খবরে সতর্ক করল PIB
প্রসঙ্গত, লকডাউনে ঘরে ফেরার সময় যে সকল পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা৷ যার জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে কোনও তথ্য সরকারের হাতে নেই৷
গত মে মাসে দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল৷ সেই সময় তাঁর এই কাজকে ‘ড্রামাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ রাহুলের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘পরিযায়ীদের পাশে বসে সময় নষ্ট না করে, তাঁদের স্যুটকেসটা বহন করে দিন৷’’