আরও তীব্র হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, দিল্লি গেটের সামনে জ্বলল আগুন

আরও তীব্র হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, দিল্লি গেটের সামনে জ্বলল আগুন

a6ebe403d74449a5c7525a279a427234

নয়াদিল্লি:  কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে চলছে লাগাতার কৃষক বিদ্রোহ৷ দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই রবিবার কৃষি বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷ রাষ্ট্রপতির সাক্ষরে কৃষি বিল আইনে পরিণত হতেই আরও তীব্র হয়ে ওঠে কৃষক আন্দোলন৷ স্ফুলিঙ্গের মতন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বিদ্রোহের আগুন৷ সোমবার সকালে দিল্লি গেটে একটি ট্র্যাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা৷ তড়িঘড়ি ওই ট্রাক্টরটি সরিয়ে নেয় পুলিশ৷ দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়৷   

আরও পড়ুন- প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা যশবন্ত সিং, শোকার্ত মোদী-রাজনাথ

পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা ১৫ থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে দিল্লি গেটের সামনে জড়ো হন ১৫ থেকে ২০ জন বিক্ষোভকারী৷ তাঁরাই একটি পুরনো ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেন৷ আন্দোলনরত কৃষকরা কংগ্রেসি স্লোগান তোলে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর৷ তিনটি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সারা দেশে জুড়েই চলছে বিক্ষোভ৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি উত্তাল হরিয়ানা ও পঞ্জাব৷ ‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত বিলে রাষ্ট্রপতি সাক্ষর করার পর থেকেই আন্দোলন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে শুরু করেছে৷ বিক্ষোভকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং৷ স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ ভগত সিং-এর পৈতৃক গ্রাম খটকার কালনে আজ বিক্ষোভে সামিল হবেন তিনি৷ 

e4d899857b823b3e966b0184b1151af2

আরও পড়ুন- ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে দেশের কৃষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদী

এদিকে অমৃতসর-দিল্লি রেলওয়ে ট্র্যাক অবরোধ করা হয়েছে৷ গত বুধবার থেকে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর ধরনায় বসেছেন কৃষকরা৷ কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’র ছত্রছায়ায় চলছে আন্দোলন৷ অন্যদিকে, এদিন রাজ্যজুড়ে বনধ ডেকেছে কর্ণাটকের কৃষকরা৷ এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস৷ 

কৃষকদের দাবি, এই আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) থেকে বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের৷ কৃষি বিলের বিরোধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা৷ চিড় ধরেছে এনডিএ-তেও। কিন্তু, নিদের সিদ্ধান্তে অটল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষি বিলের পক্ষে রবিবারও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জোর সওয়াল করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘এখন কৃষকরা তাঁদের ইচ্ছার মালিক। কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে মান্ডির ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে মুক্তি দিতেই এই আইন।’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *