প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা যশবন্ত সিং, শোকার্ত মোদী-রাজনাথ

দীর্ঘদিন ধরে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। টুইটারে প্রয়াত যশবন্ত সিং'য়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে লিখেছেন দুজনেই।

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন ধরে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। টুইটারে প্রয়াত যশবন্ত সিং’য়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন দুজনেই।

যশবন্ত সিং জসোলের ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বারমের জেলার জসোল গ্রামে রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ চাকরিজীবন শেষ করার পর রাজনীতিতে সক্রিয় ওঠেন। ভারতীয় জনতা পার্টি তাঁর হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল। দেশের দীর্ঘ মেয়াদী সাংসদদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন যশবন্ত সিং। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটানা তিনি সাংসদ ছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষা দফতর একসময় একা হাতে সামলেছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ২০০৪ সালে দিল্লিতে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর রাজ্য সভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। 

কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে তিনি বিজেপির কাছে নেতিবাচক হয়ে ওঠেন। এই বছর তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ মন্তব্য করেন তাঁর লেখা একটি বইতে। দল তরফে তাঁকে সেকথা ফিরিয়ে নিতে বলা হলেও তিনি তা ফেরাতে চাননি। এরপরেই দলের অন্দরে যশবন্ত’কে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়, তখন তিনি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙের সক্রিয় সাংসদ। এরপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে তাঁকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অপমানের বদলা নিতে তিনি নিজের জেলা থেকে নির্দল হিসাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিজেপি তরফে এরপর তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিজের সিদ্ধান্তে সর্বদা অটুট থাকা যশবন্ত বিজেপির সেই নির্দেশ না মানায়, দল থেকে যশবন্ত’কে বহিষ্কৃত করা হয় সেই বছর ২৯ মার্চ।

এর কিছুদিন পরেই ৭ আগস্ট নিজের বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান যশবন্ত সিং। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান তিনি গভীর কোমায় চলে গিয়েছেন। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টাতেও তাঁকে কোমা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর দীর্ঘ ৬বছর তিনি কোমাতেই ছিলেন। আজ, রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *