নয়াদিল্লি: কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই শুক্রবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বিএসএফ ছাউনি লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পাক রেঞ্জার্স৷ সীমান্ত লাগোয়া বসতি এলাকার উপরেও হামলা চালানো হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার উরি থেকে গুরেজ সেক্টরের মধ্যে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান৷ পাক সেনার এই ঔদ্ধত্যের মোক্ষম জবাব দেয় ভারত৷ জবাবি গুলিতে প্রাণ হারান ১১ জন পাকিস্তানি সেনা৷ জখম হন ১৬ জন৷ নিহতদের মধ্যে তিন জন পাকিস্তান আর্মি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর বলে সেনা সূত্রে খবর৷ নিয়ন্ত্রণরেখায় এই ঘটনার পরই শনিবার ভারতীয় কূটনীতিবিদকে সমন পাঠাল পাক বিদেশ দফতর৷
আরও পড়ুন- বীর সেনা জওয়ানদের সম্মানে প্রদীপ জ্বালানোর আর্জি নমোর
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই ভারতীয় কূটনীতিবিদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ আজ সকাল ১১টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন পাকিস্তান ডিরেক্টর জেনারেল ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (DG-ISPR) মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার এবং পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি৷ শুক্রবার পাক সেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনা৷ পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার সময় অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে৷ সম্প্রতি ইজরায়েল থেকে আনা হয়েছে এটি৷ পাক সেনারা গুলি ও মর্টার ছোড়ার পরই পাল্টা জবাব দেয় ভারত৷ জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনার গোলার মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় পাক শিবির৷ একাধিক বাঙ্কার, অস্ত্রাগার, লঞ্চ প্যাড ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ তবে শক্রুদের জবাব দেওয়ার সময় পাক সেনার গুলিতে প্রাণ হারান চার ভারতীয় জওয়ান৷ জখম হয়েছেন তিনজন৷ প্রাণ গিয়েছে তিন নাগরিকের৷ আহত হয়েছেন পাঁচজন স্থানীয় মানুষ৷
আরও পড়ুন- বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণ, ভারতের জবাবি গুলিতে হত ৮ পাক সেনা
দীপাবলির আগে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চালিয়েছিল পাকিস্তান৷ সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা৷ গতকাল পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেছিলেন, এদিনের ঘটনায় চার জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ তবে পরে জানা যায় মারা গিয়েছেন ১১ জন পাক সেনা৷