নয়াদিল্লি: দীপাবলির আগে পাক সীমান্তে গোলাগুলি৷ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই শুক্রবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক সেনা৷ পাক সেনার গুলিতে প্রাণ হারান ৩ সেনা জওয়ান৷ মৃত্যু হয় ৪ জন সাধারণ নাগরিকের৷ সমুচিত জবাব দেয় ভারতও৷ জবাবি গুলিতে ৭ থেকে ৮ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে পাকিস্তান আর্মি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর তিনজন কমান্ডো রয়েছেন বলে সেনা সূত্রে খবর৷ জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন সেনা৷
আরও পড়ুন- LOC-তে পাক সেনার গুলিবর্ষণ, এবারও কি রীতি মেনে সীমান্তে দীপবলি পালন করবেন নমো?
এদিন সকালে বিএসএফ ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পাক রেঞ্জার্স৷ ছোড়া হয় মর্টার৷ পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা৷ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাক সেনা ছাউনি৷ এদিন একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা৷ জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনার গোলার মুখে ছত্রভঙ্গ পাক শিবির৷ একাধিক বাঙ্কার, অস্ত্রাগার, লঞ্চ প্যাড ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ তবে শত্রুদের জবাব দেওয়ার সময় তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়৷ উরির নাম্বালা সেক্টরে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় দুই ভারতীয় সেনার৷ হাজি পীর সেক্টরে প্রাণ হারান বিএসএফ-এর এক সাব ইনস্টেপ্টর৷ উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেছে ভারতীয় সেনা৷ পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার সময় অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিশাইল স্পাইক ব্যবহার করে ভারত৷ সম্প্রতি ইজরায়েল থেকে এটি আনা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের জন্য ২,৭০৭ কোটি অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের
এদিন লাইন অফ কনট্রোল (এলওসি) বরাবর গুরেজ থেকে উরি সেক্টরের মধ্যে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা৷ ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে প্রাণ হারান পাক বাহিনীর ৭-৮ জন সেনা৷ যদিও পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের দাবি, এদিনের ঘটনায় চার জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন৷