আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে দিল্লি সীমান্তে শয়ে শয়ে জাঠ

আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে দিল্লি সীমান্তে শয়ে শয়ে জাঠ

অমৃতসর: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির উপকন্ঠে জ্বলছে কৃষক বিদ্রোহের আগুন৷ কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে বিপুল সংখ্যক ‘জাঠ’ বা পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে এসে পৌঁছচ্ছেন৷ আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে দিল্লি সীমান্তে বাড়ছে বিদ্রোহী কৃষকের সংখ্যা৷ প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে একই ভাবে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলছে এই বিক্ষোভ৷  

আরও পড়ুন- কয়েকঘণ্টার মধ্যে ৯ শিশুর মৃত্যু, রাজস্থানের হাসপাতালে চাঞ্চল্য

তবে এরই মধ্যে কিছু কৃষক ঘরে ফিরে যাচ্ছেন৷ তাঁরা যোগ দিচ্ছেন কৃষিকাজে৷ ফলে তাঁদের জায়গা পূরণ করতে পঞ্জাব-হরিয়ানা থেকে নতুন করে দলে দলে কৃষকরা আসতে শুরু করেছেন৷ বুধবার কয়েকশো আন্দোলনকারী দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন৷ বৃহস্পতিবার মানসা, ভাতিন্ডা এবং সাঙ্গরুর জেলা থেকেও বহু কৃষক দিল্লির পথে অগ্রসর হন৷ বৃহস্পতিবার সাঙ্গরুর থেকে দুটি বাস বোঝাই করে দিল্লির পথে রওনা দেন আরহিতারা (কমিশন এজেন্ট)৷ শুক্রবার অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে প্রার্থনা করার পর বিপুল সংখ্যক জাঠ দিল্লি পথে পা বাড়ান৷  

আরও পড়ুন- তৈরি হবে ৯৭০ কোটি টাকার নতুন সংসদ ভবন! শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

আট্টারি, মাজিথা এবং জলডিয়ালা বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বর্ডার এরিয়া সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রত্তান সিং বলেন, প্রায় ১০০ জন কৃষকের একটি দল বৃহস্পতিবার দিল্লি সীমান্ত থেকে ফিরে গিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ আমাদের আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷ তাই রোটেশনে ডিউটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷’’ কিন্তু দিল্লিতে কৃষকদের পাঠাতে কত টাকা খরত হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ট্রাক্টর বা ট্রলিতে একটা ট্রিপ করতে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকার ডিজেল খরচ হচ্ছে৷ বাসে গেলে তেলের খরচ ১৯ থেকে ২১ হাজার টাকা৷ বাস ভাড়া লাগেছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা৷ এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ট্রাক্টর বা বাসগুলি ফেরত আসছে৷ উপরন্তু প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে ড্রাইভারদের৷ তবে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ স্বেচ্ছায় আন্দোলনের সমর্থনে দান করছেন বলেও জানান তিনি৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 12 =