বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সব ক্ষেত্রে ধর্ষণ নয়, রায় হাইকোর্টের

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সব ক্ষেত্রে ধর্ষণ নয়, রায় হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সবর্দা ধর্ষণ নয়৷ দীর্ঘ সময় ধরে  কোনও মহিলার স্বেচ্ছায় কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললে তা ধর্ষণ বলে বিবেচ্য হবে না৷ বুধবার এমনই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ 

আরও পড়ুন- ভোটের আগেই বড় ইস্যু পাহাড়! দিল্লিতে বৈঠক ঘিরে জল্পনা!

সম্প্রতি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা৷ তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসের পর মাস তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ কিন্তু আদালত জানায়, ‘‘দীর্ঘ সময় ধরে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্ররোচনা হিসাবে ধরা যায় না৷’’  বিচারপতি বিভু ভাকরু বলেন, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ককে তখনই ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হবে যখন তিনি ক্ষণিকের শিকার হবেন৷ হাইকোর্টের ব্যাখ্যা, ‘‘অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও পক্ষকে যৌন সম্পর্কের জন্য প্ররোচিত করতে পারে৷ ‘না’ বলার পরও কোনও এক মুহূর্তে এই ধরনের প্ররোচনায় কেউ সম্মতি প্রকাশ করতে পারেন৷’’ কেবলমাত্র এক্ষেত্রে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্যাতনের শিকার হওয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারায় ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হতে পারে৷ কিন্তু দিনের পর দিন ঘনিষ্ঠতা, বিশেষ করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে ধর্ষণ বলা যাবে না৷  

আরও পড়ুন- বিচ্ছেদ থেকে খোরপোষ, অভিন্ন নিয়ম চালু করা নিয়ে কেন্দ্রকে সুপ্রিম চিঠি

এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা৷ তাঁর অভিযোগ, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করার পর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল সে৷ 

কিন্তু ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দেয় নিম্ন  আদালত৷ সেই রায়ই বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট৷ উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা নিজের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্কে লিল্প হয়েছিলেন৷ ফলে এক্ষেত্রে এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলা সম্ভব নয়৷ ওই মহিলা তাঁর  অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ২০০৮ সাল থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল তাঁর৷ এর তিনি চার মাস পর তিনি বয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যান৷ ফলে এই মামলায় কোনও ভাবেই ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয় না৷  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *