নয়াদিল্লি: বিবাহ বিচ্ছেদ এবং খোরপোষ নিয়ে আমাদের দেশে রয়েছে ভিন্ন নিয়ম৷ পৃথক নিয়ম নয়, বরং এক্ষেত্রে একই নিয়ম চালু করার জন্য কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- বিহারে নাকি ‘কারণ বারণ’! অথচ সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করেন এ রাজ্যেরই মানুষ, বলছে সমীক্ষা
এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা অশ্মিনী কুমার৷ তাঁর বক্তব্য, সকল ধর্মের মহিলাদের সমান অধিকার দিতে হবে৷ কোনও ধর্মীয় আচার তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব করলে সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে৷ ওই শিষ্টাচার বা ধর্মীয় আচরণ যাতে আইনি রক্ষাকবজ না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে৷ তিন বিচারপতি এসএ বোবদে, এএস বোপান্না ও ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ জানায়, সতর্কতার সঙ্গেই এই বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে৷ এদিন বেঞ্চ জানায়, এই মামলার পিটিশনার এমন একটি দিকে আদালতকে নিয়ে যেতে চাইছে, যেখানে ব্যক্তিগত আইনের উপর হস্তক্ষেপ হতে পারে৷
প্রসঙ্গত এদিন বিবাহ বিচ্ছেন সংক্রান্ত ইস্যুতে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ৷ অপর দিকে খোরপোষের অভিন্ন নিয়মের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মীনাক্ষি আরোরা। বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত পিটিশনে বলা হয়েছে বিভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন লিঙ্গের জন্য ডিভোর্সের আলাদা নিয়ম রয়েছে৷ এর সপক্ষে বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে৷ যেমন- হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ বা পার্সিরা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ চাইতে পারে৷ মুসলিম মহিলাদের সেই অধিকার নেই৷ এছাড়াও সঙ্গমে অক্ষমতার কথা উল্লেখ করে হিন্দু এবং খ্রিস্টানরা বিচ্ছেদ চাইতে পারে৷ কিন্তু অন্য ধর্মের মহিলারা তা চাইতে পারে না৷
আরও পড়ুন- বিহারে নাকি ‘কারণ বারণ’! অথচ সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করেন এ রাজ্যেরই মানুষ, বলছে সমীক্ষা
কিন্তু ব্যক্তিগত আইনের পরিধি অতিক্রমণ না করে কী ভাবে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেঞ্চ৷ এর আগে আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হয়েছে তিন তালাক৷ এই প্রথাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ এদিন অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে যে সুপারিশ করেছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়৷