নয়াদিল্লি: যৌন হেনস্থা ইস্যুতে মি টু আন্দোলন ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল আন্তর্জাতিক স্তর থেকে ভারতেও। একের পর এক স্বনামধন্য ব্যক্তি এই ইস্যুতে নাম জড়িয়ে ফেলেছিলেন অল্পদিনের মধ্যেই। যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধেও। সাংবাদিক প্রিয়া রমণী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যৌন হেনস্থার। সেই প্রেক্ষিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা আজ খারিজ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- ফের কমতে পারে EPF সুদের হার! মাথায় হাত ৬ কোটি গ্রাহকের
দিল্লির একটি আদালত এই মামলায় রায় দান করে জানিয়েছে, যৌন হেনস্থা বা নিপীড়নের অভিযোগ তোলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মহিলাদের। সেই প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিণী সাংবাদিক প্রিয়া রমণীকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের মানহানির মামলা। মি টু আন্দোলন সারা বিশ্বের মতো ভারতেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অভিনেতা নানা পাটেকার থেকে শুরু করে তাবড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলেই যৌন হেনস্থার মামলায় অভিযুক্ত হন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এম জে আকবর। অভিযোগকারিণী সাংবাদিক প্রিয়া রমণী জানিয়েছিলেন, বছর কুড়ি আগে তাকে জোর করে চুম্বন করতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন এম জে আকবর সাংবাদিক হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। শুধু প্রিয়া রমণী নন, আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আরও বেশ কয়েকজন মহিলা সাংবাদিক। সব মিলিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। পরবর্তী ক্ষেত্রে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আকবর এবং অভিযোগকারিণীর সাংবাদিক প্রিয়া রমণীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন- দিদিকে নিয়ে আমার মনে শ্রদ্ধা আছে, মহিলাকে অনেক ভালোবাসি: যশ
আজ এই মামলার রায় দান করে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, মহিলারা স্বাধীনভাবে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলতে পারেন। অভিযোগ তোলার জন্য কোনরকম সাজা দেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে যে যৌন হেনস্থার ঘটনা কখনো জনসমক্ষে সেই ভাবে ঘটে না। তাই এই ঘটনার গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। মামলা খারিজ হয়ে যাবার ফলে বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বড়সড় অস্বস্তি হল তা বলাই বাহুল্য।