নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাবু করেছিল গোটা দেশকে৷ পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও তৃতীয় ঢেউ ‘অনিবার্য’৷ অক্টোবর নয়, ৬ থকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নিয়ে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে চলেছে বলে সতর্ক করলেন এইমস-এর প্রধান চিকিৎসক ডা. রণদীপ গুলেরিয়া৷
আরও পড়ুন- ৭৪ দিন পর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এত কম দেশে, মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে দেশের একাধিক রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক পর্ব৷ এরই মধ্যে এল এইমস প্রধানের সতর্কতা৷ ডা. গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, ভাইরাসের শক্তিবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে মূলত ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট৷ যা কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে উদ্ভূত হয়েছে৷ যা ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে৷ এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ৷ তিনি বলেন, ‘‘আনলক পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোভিড উপযুক্ত আচরণের অভাব দেখা দিয়েছে৷ প্রথম ধাক্কার পরেও যে আমারা কোনও শিক্ষা নিইনি, তা দ্বিতীয় ধাক্কাতেই স্পষ্ট৷ ফের রাস্তায় ভিড় বাড়ছে৷ মানুষ এক সঙ্গে জড়ো হচ্ছে৷ এভাবে চললে কিছু দিনের মধ্যেই ফের সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে৷ মানুষ যে তৃতীয় ঢেউ এড়াতে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবে, তা মনে হয় না৷’’
আরও পড়ুন- সোনা কেনাবেচায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক
এইমস প্রধান জানাচ্ছেন, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে গেলে ঠিক মতো টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে৷ পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন দক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের৷ কারণ তৃতীয় ঢেউয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে৷ এই ভাইরাসের চরিত্র কেমন তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বুঝতে হবে৷ মনোক্লোনাল চিকিৎসার প্রয়োজন হবে কিনা, সেটাও দেখতে হবে৷ ডা. গুলেরিয়া আরও বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে দ্রুত টিকাকরণ করতে হবে৷ এখনও পর্যন্ত দেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন৷ চলতি বছরের শেষে দেশের ১০৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার৷ এই টিকাকরণ আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ পাশাপাশি কোভিড বিধিও মেনে চলতে হবে৷