নয়াদিল্লি: সোনার গয়না কেনাবেচায় এ দেশে হলমার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বুধবার থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়ে গিয়েছে৷ তবে আপাতত দেশের ২৫৬টি জেলায় এই নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা গোটা দেশে কার্যকর করা হবে। ক্রেতাদের যাতে কোনওভাবে না ঠকতে হয় এবং বিক্রেতারাও যাতে খাঁটি সোনা বিক্রি করেন, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর৷
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই সোনার গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্র এই ঘোষণা করেছিল৷ সেই অনুযায়ী ডেডলাইনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করায় এবং করোনা পরিস্থিতির জন্য দু’বার ডেডলাইন পরিবর্তন করা হয়৷ সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুন করা হয়। ১৪, ১৮ এবং ২২ ক্য়ারেট সোনার গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী কেনাবেচার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে৷ কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া নিয়ম লাগু করতে যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, সেজন্য ব্য়ুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্য়ান্ডার্সের ডিরেক্টর জেনারেল প্রমোদ তিওয়ারির তত্ত্বাবদানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দেশের হলমার্কিংয়ের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে৷ এখন দেশে যতগুলি সংস্থা এই কাজে নিযুক্ত, তারা সবাই এই কাজ করলে এক বছরে ১৪ কোটি জিনিসের হলমার্ক তৈরি করা সম্ভব৷ এই প্রসঙ্গে টুইটারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল লেখেন, ‘ক্রেতাদের আরও ভালো পরিষেবা ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ১৬ জুন থেকেই ২৫৬টি জেলায় সোনার গয়না বিকিকিনিতে হলমার্ক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে ২০২১ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত কোনও পেনাল্টি দিতে হবে না স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের৷ সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বের সোনার বাজারে ভারত আরও এগিয়ে যাবে৷’
নয়া নিদের্শিকা না মেনে কোনও বিক্রেতা সোনায় গয়না বা সোনার তৈরি অন্যান্য জিনিসের ওপর হলমার্ক ব্যবহার না করলে, তাঁর জেল ও জরিমানা, দু’টোই হতে পারে৷ সূত্রের খবর, এহেন কাজে অভিযুক্তকে বিক্রি করা সামগ্রীর দামের পাঁচগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং সর্বোচ্চ একবছর হাজতে থাকতে হতে পারে৷