নয়াদিল্লি: কয়লা পাচারকাণ্ডে দিল্লিতে ইডির দফতরে আজ সকালে হাজিরা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর যখন তিনি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তখন একদিকে যখন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হারাবেন বলে হুঙ্কার দেন, অন্যদিকে, বাংলা বিধানসভা নির্বাচন ইস্যু টেনে খোঁচা দেন পদ্ম শিবিরকে। চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে বলেন, এখনও ২৫ জন বিধায়ক লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে!
আরও পড়ুন- মমতার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা! জল্পনায় ইতি
জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি তাদের হারাতে পারছে না বলে এই পন্থা অবলম্বন করছে কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হবে না। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস হারাবে বিজেপিকে, যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি গণতন্ত্র হত্যা করেছে সেই সব রাজ্যে যাবে তৃণমূল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে তারাই হারাবেন। এই প্রসঙ্গে এই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের কথা টানেন তিনি। মন্তব্য করেন, অমিত শাহ বড় বড় কথা বলেছিলেন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু সেখানে বিজেপির কী অবস্থা হয়েছে তা সবাই জানেন। ২০০ আসনের কথা বলা হয়েছিল, গাড়ি ৭০-এ আটকে গিয়েছে। অভিষেক আরো চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে বলেন, এখনো কমপক্ষে ২৫ জন বিধায়ক লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাদের দলে নিচ্ছে না। আগামী দিনে বিজেপির অবস্থা আরো খারাপ হবে। আগামী দিনেও বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনা মাটিতে মিশে যাবে, বলে মন্তব্য তাঁর।
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের যেমন অবস্থা হয়েছিল এখন যেন বিজেপির ঠিক সেই অবস্থা হতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একে একে দলবদল করছিলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা এবং বিধায়করা। নির্বাচনের পরে এই চিত্রই বদলে গিয়েছে বিজেপির বিপক্ষে। ইতিমধ্যে মুকুল রায় সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক দলবদল করে ফেলেছেন। আরো কয়েকজন বেসুরো হয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে মন্তব্য করে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতির কথা। সেই প্রেক্ষিতে আজ দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যে আরো রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল বাংলায় তা বলাই বাহুল্য।