নয়াদিল্লি: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাবার পর প্রথম যে দুই দেশ তাদের সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা হল চিন এবং পাকিস্তান। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাশিয়াও পরোক্ষে তালিবানকে সমর্থন করবে বলে আভাস দিয়েছিল। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই আফগানিস্তান ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে আসছে। এমনকি দুবাইয়ে তালিবানের সঙ্গে বৈঠকেও সেই মেজাজ বজায় রেখেছিল ভারত। এবার ব্রিকস বৈঠকেও একইভাবে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাও আবার রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামনে।
আরও পড়ুন- রাজ্যের ৬১ জন BJP বিধায়কের নিরাপত্তা সরাচ্ছে কেন্দ্র! চিঠি গেল নবান্নে
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই ব্রিকস সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যুতে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনো ভাবেই আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আফগানিস্তান সন্ত্রাস এবং মাদক পাচারের আঁতুড়ঘর হয়ে যেতে পারে তাই এখন থেকেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর পাশাপাশি তালিবান বিরোধী শক্তিদের পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আফগানরা কয়েক দশক ধরে লড়াই করছেন এবং তারা যে দেশ দেখতে চান সেটা দেখার তাদের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড: দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল ED
এর আগেও পরোক্ষে তালিবানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন যে সন্ত্রাসের সরকার বেশি দিন চলে না। যদিও তখন তালিবান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভারতকে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের জন্য চিন্তা বাড়িয়েছে। এদিকে আবার রাশিয়াও আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, কাশ্মীরে সন্ত্রাস বাড়তে পারে আফগানিস্তান পরিস্থিতির জন্য। সব মিলিয়ে ভারত চেষ্টা করছে বেশিরভাগ দেশকেই তাদের পাশে রাখতে তালিবান তথা আফগানিস্তান ইস্যুতে। তালেবানের সঙ্গে ভারত যে বৈঠক করেছিল সেই বৈঠকেও স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, তালিবান যেন কখনোই আফগানিস্তানের মাটি ভারতের বিপক্ষে ব্যবহার না করে। তখন তালিবানের তরফ থেকে ভারতের বক্তব্য ভেবে দেখার কথা জানানো হয়।