নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি আওয়াজ তুলে সেখানে একাধিক কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল টক্করে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। সেই রেশ যে আগামী বেশ কয়েক মাস বজায় থাকবে তা বলাই বাহুল্য। এবার ত্রিপুরার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান নেতা মানিক সরকার। তিনি স্পষ্ট বললেন, ত্রিপুরায় সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। কেন হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- যোগী পথ দেখাচ্ছেন দেশকে! আদিত্যনাথকে ‘লেটার মার্কস’ মোদীর
এদিন নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে মানিক ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, সেই রাজ্যে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ এলাকায় বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি গত নির্বাচনে অধিকাংশ এলাকায় রিগিং করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মানিক আরো বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানে বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পার্লামেন্টের ভেতরে এবং বাইরে। কিন্তু ত্রিপুরায় বিরোধীদের কোনো রকম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বাম দলগুলির বিরুদ্ধে এই নীতি নিয়েছিল বিজেপি কিন্তু তারপর কংগ্রেসও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ত্রিপুরার বিরোধী একাধিক বিধায়কদের নিজস্ব কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রতিপদে। এমনকি মানিক সরকার জানাচ্ছেন যে, তাঁকেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তিনি সেইসব এলাকায় ঢুকতে পারেননি। তাঁদের দলের বিধায়কদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
এছাড়াও এই সাংবাদিক বৈঠকে মানিক সরকার বিজেপির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে বলেন, ত্রিপুরাতে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রথম থেকে এই বিষয়টি না থাকলেও বিগত দুই বছর ধরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওই রাজ্যে। শারীরিক নিগ্রহ থেকে শুরু করে ভয় দেখানো চলছে সকলকে। মূলত যারা যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে এবং তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, লুট করা হচ্ছে।