লখনউ: আজ সকাল ১১টা থেকে লখনউয়ে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পেট্রল-ডিজেল কি জিএসটি-র আওতায় আসবে? কাউন্সিলের বৈঠকের আগেই এই প্রশ্ন বারবার উঠছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে জানা গেল যে, জিএসটি আওতায় আসছে না পেট্রল-ডিজেল। অধিকাংশ রাজ্যের আপত্তি রয়েছে এই ব্যাপারে। উল্লেখ্য, এটি ছিল জিএসটি কাউন্সিলের ৪৫তম বৈঠক।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক মেধা তালিকায় অভিযোগের পাহাড়! নিষ্পত্তিতে আরও ৩ মাস সময় চাইল SSC
পেট্রল-ডিজেল ইস্যু ছাড়াও জানা গিয়েছে যে, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর ১২ থেকে কমে কর হচ্ছে ৫ শতাংশ। ওদিকে, করোনার ওষুধের উপর জিএসটি ছাড় একই রকম থাকছে। সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত যে নিয়ম ছিল, তাই বহাল থাকছে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধ, যা করোনার চিকিৎসার জন্য নয়, কিন্তু জীবনদায়ী, সেগুলির উপর থেকে জিএসটির ছাড় দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১ জুলাই যখন জাতীয় জিএসটিতে এক্সাইজ ডিউটির মতো কেন্দ্রীয় ও ভ্যাটের মতো রাজ্য পর্যায়ের কর অন্তভূক্ত করা হয়েছিল, তখন পেট্রোল, ডিজেল, এটিএফ, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত তেলের মতো পাঁচটি পেট্রো পণ্যকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার আবেদন করা হচ্ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছিল যে আজ এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু অবশেষে এর আওতায় আসছে না পেট্রল-ডিজেল।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সব রাজ্য সরকারের অর্থমন্ত্রীরা। যদিও জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকের বিরোধিতা করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি দাবি তোলেন এই বৈঠক যাতে অনলাইনে হয়। পাশাপাশি এই জানান, মহারাষ্ট্রের প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার জিএসটি রিটার্ন এখনও রাজ্যকে দেওয়া হয়নি।