শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরের নৌসেরায় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সন্ধ্যায় দিওয়ালির একটা প্রদীপ আপনাদের আপনাদের বীরত্ব, শৌর্য, ত্যাগ ও তপস্যার নামে উৎসর্গ করা হবে৷ প্রদীপের জ্যোতির সঙ্গেই সমগ্র দেশবাসী আপনাদের শুভকামনা জানাবে৷
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে মোহময়ী অযোধ্যা, লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে দ্বীপোৎসবের সূচনা
নৌসেরায় সেনার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এখানে আপনাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এসেছি। আমি কোটি কোটি ভারতীয়দের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি।” প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জম্মু-কাশ্মীরের এই জেলায় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করলেন নমো৷ তিনি বলেন, কাশ্মীরে পাহারাদারের কাজ করে নৌসেরা৷
প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে গতকালই সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে জম্মুতে পৌঁছন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন৷ গোটা এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন তিনি। পুঞ্চ এবং রাজৌরির জোড়া সীমান্তে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে৷ গত তিন সপ্তাহে এই সীমান্তেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের৷ এদিন নমো বলেন, দেশের বীর পুত্র, বীর কন্যারা যে ভাবে ভারত মায়ের সেবা করে চলেছেন, সেই সৌভাগ্য সকলের হয় না৷ আপনারা সৌভাগ্যবান৷ পাহাড়ের শিখর হোক বা মরুভূমি, আপনারা ভারত মাতার জীবন্ত সুরক্ষা কবচ৷ আপনাদের জন্যই ১৩০ কোটি দেশবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমতে পারে৷ আপনাদের বীরত্বের জন্যই আমাদের উৎসব এত রঙিন হতে পারে৷ সীমান্তে মহিলাদের অবদানও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
তিনি বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল নৌসেরার ব্রিগেড৷ নৌসেরার সেনার শক্তির আভাস রয়েছে শত্রুদেরও৷ কিন্তু সার্জিক্যাল স্ট্রাইন নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনেছি৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শেষ করে সেনারা দেশে না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি৷ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থেকেছি৷ দেশ প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভর হচ্ছে৷ দেশেই তৈরি হচ্ছে তেজস বিমান, অর্জুন ট্যাঙ্ক৷ সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে তৈরি হচ্ছে ডিফেন্স করিডর৷ এবার আমরা প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিকারক দেশ হিসাবে চিহ্নিত হব৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজৌরিরই একটি সেক্টরে দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন৷ এবার তিনি নৌসেরায় সেনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে দীপাবলি পালন করলেন৷ নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছাকাছি অবস্থিত এই রাজৌরি৷