স্থানান্তরিত অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা, মিলে গেল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে

স্থানান্তরিত অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা, মিলে গেল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে

নয়াদিল্লি: পাঁচ দশক পর নিভল অমর জওয়ার জ্যোতির অগ্নিশিখা৷ ইন্ডিয়া গেট থেকে অগ্নিশিখা স্থানান্তর করে মিলিয়ে দেওয়া হল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে৷ এই ঘটনায় বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি, ‘নেভানো হচ্ছে না, অগ্নিশিখা স্থানান্তর করে মেলানো হবে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে৷’ অন্যদিকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর টুইটে সাফাই, সেনাদের যোগ্য সম্মান দিতেই এই সিদ্ধান্ত৷ 

আরও পড়ুন- ওমিক্রনের দাপট! ৮ মাস পর দেশে ফের দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানজের স্মৃতিতে অমর জওয়ান জ্যোতি প্রতিষ্ঠা করেছিল তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার৷ ১৯৭২ সালে সেই স্মৃতিসৌধ নিজে উদ্বোধন করেছিলেন ইন্দিরা৷ তবে থেকে রাজধানী দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অনির্বাণ অমর জওয়াম জ্যোতি৷ পাঁচ দশক পর  অমর জ্যোতির সেই শিখাই নিভিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যদিও সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, এই জ্যোতি নিভছে না৷ স্থানান্তর হচ্ছে শুধু৷ ইন্ডিয়া গেট থেকে অমর জ্যোতির শিখা নিয়ে যাওয়া হল নবনির্মীত ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ। 

এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা৷ ‘দেশাত্মবোধ ও আত্মত্যাগের মানে বোঝেন না৷’ সমালোচনা করে টুইট করলেন রাহুল গান্ধী৷ ‘ঐতিহ্যকে বিকৃত করছে মোদী সরকার৷’ টুইট সৌগতর৷ সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনাকে ‘সেনার আত্মত্যাগের অমর্যাদা’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ 

ইন্দিরা গান্ধীর তৈরি সেই স্মৃতি সৌধে পাথরের স্তম্ভে উল্টো করে রাখা আছে ৭.৬২ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং তার উপর একটি সেনা শিরস্ত্রাণের স্মারক৷ তার সামনেই সর্বক্ষণ জ্বলতে থাকে আগুনের শিখা। তবে ৫০ বছর পর সেই অগ্নিশিখার ঠিকানা বদল হল৷ এ বার তা মিশে গেল প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এর সঙ্গে।


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − seven =