টানা ২৭ দিন ধরে দেশে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ! অ্যাকটিভ কেসে রেকর্ড

টানা ২৭ দিন ধরে দেশে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ! অ্যাকটিভ কেসে রেকর্ড

নয়াদিল্লি: আবার করোনার রক্তচক্ষু দেখা দিচ্ছে দেশে। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর আবার দৈনিক সংক্রমণ কার্যত আকাশছোঁয়া। নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের দাপটও হু হু করে বাড়ছে। আজ আবার সংক্রমিতের সংখ্যা দেশে গত ৮ মাসে সর্বোচ্চ! তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে দেশবাসীর মধ্যে। এদিকে ভারতের সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় আজ রেকর্ড হয়েছে।

আরও পড়ুন- বদলে গেল নিয়ম! বিমান সফরে কতগুলি ব্যাগ হাতে রাখা যাবে? সাফ জানাল কেন্দ্র

আজকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ০৬ হাজার ০৬৪ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৩৯ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩২৮ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৪৮। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এখন তা ২০.৭৫ শতাংশ। টানা ২৭ দিন ধরে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫ জন। পাশাপাশি বেড়েছে টিকাকরণও। এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬২ কোটি ২৬ লক্ষ ০৭ হাজার ৫১৬ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ২৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৬৪ ডোজ। তবে সাড়ে তিন লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছেও গত তিন দিনে কিছুটা কমেছে দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ।

আতঙ্ক বৃদ্ধির আরও বড় কারণ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নয়া রূপের খোঁজ মেলা। এই নয়া রূপ নিয়ে ইউরোপে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইনের হদিশ মিলেছে৷ এগুলি হল-বিএ.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। তবে এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে বিএ.১ সাব স্ট্রেইনটি৷ ওমিক্রনের বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠলেও, বিভিন্ন দেশে ধরা পড়েছে বিএ.২ স্ট্রেনটিও৷ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নয়া রূপ বিএ.২ এর হদিশ মিলেছে ৪০টি দেশে৷ কিন্তু জানা গিয়েছে, ওমিক্রমের এই নয়া সাব স্ট্রেইনে স্পাইক নেই৷ তাই সে সহজেই ফাঁকি দিয়ে দিচ্ছে আরটিপিসিআর টেস্টকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =

একদিনে বাড়ল সংক্রমণ, মৃত্যু! দেশের টিকাকরণ নিয়ে স্বস্তি

একদিনে বাড়ল সংক্রমণ, মৃত্যু! দেশের টিকাকরণ নিয়ে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত রয়েছে, রয়েছে দুই মহামারী একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা। তাই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এর মাঝে খানিকটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলছে কারণ দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কিছুটা হলেও নিম্নমুখী হচ্ছে বিগত কয়েক দিনের তুলনায়। যদিও আজ গতকালের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যু দুইই বেড়েছে। তাই এখনও এটা বলা যাবে না যে দেশের বিপদ কেটে গিয়েছে। তবে টিকাকরণের হার আগের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় যথেষ্ট স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে দেশে।

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

 
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৭৫ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ১১৪ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ২৫৬ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫১ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪১১ জন। এদিকে টিকাকরণের হার বেড়েছে কারণ গতকালই টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭৮ লক্ষ মানুষ, মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ কোটি। 

আরও পড়ুন- ১৭৩টি শূন্যপদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬০১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৫ জন কলকাতার! সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে এই শহর। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৯৭ জন। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানকার ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চতুর্থ স্থানে হুগলি। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৭৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৮ জন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 9 =