ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে থিম সঙ-এর ধুম, গানে গানে জমবে কাতার বিশ্বকাপের আসরও

ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে থিম সঙ-এর ধুম, গানে গানে জমবে কাতার বিশ্বকাপের আসরও

3ab6bfba41633e6d6ff3f614322239f0

কলকাতা: আর মাত্র হাতে গোনা ক’দিন। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন৷ আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ৷ ফুটবলের এই মহারণের আয়োজন করেছে কাতার৷ আর সেই মহাযজ্ঞের মন্ত্র বলা যেতে পারে থিম সঙ বা অফিসিয়াল সঙ-কে৷ ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ ২০২২-র গান৷ কাতার বিশ্বকাপের সেই থিম সং শুনেছেন? 

আরও পড়ুন- অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই BCCI-এ ধোনিকে বড় পদ?

ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে থিম সঙের যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপ, ইতালিয়া নাইনটি থেকে। নব্বই এর দশকে ফ্রান্স বিশ্বকাপের গান ‘দ্য কাপ অফ লাইফে’র সুরে মেতে উঠেছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। এর পর ১৯৯৮৷ রিকি মার্টিনের ‘হিয়ার উই গো আলে আলে আলে’ জমিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকাপের মঞ্চ। ২০১০ এ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান গেয়েছিলেন লাস্যময়ী গায়িকা শাকিরা। ‘ওয়াকা ওয়াকা.. দিস টাইম ফর আফ্রিকা’র জাদুতে বুঁদ হয়েছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। আজও সেই মগ্নতায় বিভোর লাখো ফুটবল প্রেমীরা। ১২ বছর আগে শাকিরার ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট হওয়া সেই ভিডিও এখনও পর্যন্ত ৩.২ বিলিয়ন দর্শক দেখেছেন! ইউটিউবের ইতিহাসে যা রেকর্ড৷ ‘ওয়াকা ওয়াকা’ কোনও গায়িকার গাওয়া চতুর্থ জনপ্রিয় ভিডিও৷ 

২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের থিম সঙ গেয়েছিলেন পিটবুল। সেই গানে শোনা গিয়েছিল আরও এক বিখ্যাত শিল্পী জেনিফার লোপেজ এবং ব্রাজিলিয়ান গায়িকা ক্লদিয়া লেতের গলা। ‘উই আর ওয়ান ওলে ওলে ওলা’ র সাম্বা সুরে হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপের শুভ মহরৎ। এর পর ২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপ৷ সেবার থিম সঙ ছিল ‘ওয়ান লাইফ লিভ ইট আপ’।  গেয়েছিলেন নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ এবং এরা ইস্ত্রেফি। 

২০২২ সালে বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে মরু প্রদেশ কাতারে। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা থিম সঙের ক্ষেত্রে কিছুটা বৈচিত্র এনেছেন৷ কারণ এবার একটি নয়, একাধিক অফিসিয়াল সঙ উপহার দিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর উদ্যোক্তারা। প্রথম গান ‘হায়া হায়া হায়া’ গেয়েছেন ত্রিনিদাদ কার্দোনা, দাভিদো এবং আইশা। দ্বিতীয় গান ‘আরহবো’ তে শোনা গিয়েছে ওজুনা আর গিমিসের গলা। তৃতীয় গানটি হল ‘লাইট দ্য স্কাই’।এই গানেই ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন নোরা। সেখানে একই সঙ্গে তাঁকে নাচতে ও গাইতে দেখা গিয়েছে৷  এই গানে ৪টি হিন্দি লাইন রয়েছে। মরোক্কান-কানাডিয়ান সুন্দরী নোরার পাশাপাশি এই গানে দেখা যাবে বালকিস, মানাল, রাহামা রিয়াদকে।

যেহেতু এবারের বিশ্বকাপের আসর বসছে আরবে, তাই আরব দুনিয়ার বিখ্যাত শিল্পীদের অফিসিয়াল গানে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তবে নোরা হলেন বলিউড তারকা। ফলে বিশ্বকাপ ফুটবলের থিম সঙে নোরার অংশগ্রহণ ভারতের কাছে অত্যন্ত গর্বের৷  নোরা এই গানে হিন্দিতে পারফর্ম করেছেন। শুধু থিম গান নয় উদ্বোধনী সংগীত এবং ক্লোজিং সেরিমনিতেও হিন্দিতে গান গাইবেন নোরা।  

বলিউডে আইটেম গার্ল হিসাবে বেশ খ্যাতি রয়েছে নোরার৷ তাঁর শরীরী বিভঙ্গ বহু মানুষকে মুগ্ধ করে৷ হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েকটি সুপারহিট গানের সঙ্গে নৃত্যের ঝলক দেখিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন মডেল-অভিনেত্রী৷ নাচের প্রতি তিনি যে অত্যন্ত প্যাশনেট তাও কারও অজানা নয়৷ সেই নোরাকেই এবার মাতাবেন ফুটবল বিশ্বকাপের আসর৷