কলকাতা: অধুনা ফুটবল বিশ্বে তিনি মুকুটহীন সম্রাট৷ তাঁর পায়ের জাদুতে বিভোর কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী৷ তাঁর জনপ্রিয়তাও আকাশ ছোঁয়া৷ জনপ্রিয়তায় তাঁকে টেক্কা দেয় এমন মুখ কমই আছে৷ যে কোনও বড় ব্র্যান্ডই চায় তাঁকে নিজেদের মুখ করতে৷ সেই তালিকায় রয়েছে সৌদি আরবও৷ চলতি বছরের শুরুতেই সৌদি সরকার তাঁদের পর্যটনক্ষেত্রের মুখপাত্র হিসাবে বেছে নেন লিয়োনেল মেসিকে। ঘটনাচক্রে তিনি যে দেশের দূত, সেই দেশের বিরুদ্ধেই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেন৷ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ তবে কি কিছুটা ধর্মযুদ্ধের মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাঁকে?
আরও পড়ুন- প্রথম অঘটন! মেসিদের নাস্তানাবুদ করে ২-১ ম্যাচ জিতল সৌদি আরব
চলতি বছরের মে মাসে, জেড্ডাতে দূত হিসাবে মেসিকে স্বাগত জানান সৌদির পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতিব৷ লোহিত সাগর ও সৌদি আরবের প্রাচীন ইতিহাস ঘুরে দেখার প্রস্তাব দেন মেসিকে। সেটি ছিল লিয়োনেল মেসির চতুর্থ সৌদি সফর৷ এই সফরের পরই শোনা যায়, সে দেশের পর্যটন দূতের ভূমিকা পালন করবেন ফুটবলের রাজপুত্র। কতটা অর্থের বিনিময়ে এই চুক্তি হয়েছিল, তা জানা না গেলেও, পরিমাণ যে নেহাত কম নয়, তা বলাইবাহুল্য৷ যে দেশ থেকে অর্থ উপার্জন করছেন, সেই দেশের বিরুদ্ধেই এদিন খেলতে নেমেছিলেন মেসি। তবে এ ধরনের দ্বন্দ্ব পেশাদার খেলোয়াড়ের জীবনে আসতেই পারে, তার মোকাবিলাও করতে হবে, এমনটাই মত অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের। যখন তিনি স্পেনে ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতেন, তখনও দেশের হয়ে স্পেনের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।
তবে আজকের ম্যাচের শুরুটা রাজার মতোই করেছিলেন মেসি৷ ১০ মিনিটের মাথায় এসেছিল গোল৷ কিন্তু দেশকে জেতাতে পারলেন না তিনি৷ গোল করেও হারল আর্জেন্টিনা৷ সৌদির রক্ষণে বার বার বাধা পেতে হয় মেসি, দি মারিয়াদের। সৌদির গোলরক্ষক আলওয়াইসি ছিলেন এককথায় অভেদ্য। গোলের নীচে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে টপকাতে পারলেন না আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>