কলকাতা: ফুটবল জ্বরে কাবু গোটা বিশ্ব৷ বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ তবে কাতার যেন অঘটনের বিশ্বকাপ৷ সম্প্রতি সেরা ষোলোর দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল জার্মানি। ২০২২-এ তাঁদের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ৷ তবে এর আগে ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, এবং ২০১৪ সালে কাপ ঘরে এনেছিল তারা। তবে জয়ের আনন্দের মাঝেই কাঁটা হয়ে বিঁধে রয়েছে ১৯৭৪৷
আরও পড়ুন- তিনি ভবিষ্যতের ‘নেইমার’! ফুটবল বিশ্বকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আধ পেটা খেয়ে মাঠা নামা এনড্রিক
ওই বছর বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল পশ্চিম জার্মানি (তখনও বার্লিনের দেওয়াল ভাঙা হয়নি) এবং নেদারল্যান্ডস। ১৯৭৪ সালের ৭ জুলাই মিউনিখের স্টেডিয়ামে বসেছিল বিশ্বকাপের ফাইনালের আসর৷ ওই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে দু’গোলে হারিয়ে বিশ্বসেরা হয় পশ্চিম জার্মানি। তবে খেলা শেষ হতেই জার্মানির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনে নেদারল্যান্ডস। তাদের অভিযোগ, বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক আগে নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যৌনতার ফাঁদ পেয়েছিল জার্মানির এক সংবাদপত্র। নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়রা যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে পাঠানো হয়েছিস নগ্ন মহিলাদের৷
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপেই প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল নেদারল্যান্ডসের ফুটবল দল৷ তাঁরা যখন ফাইনালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময় ঘটানো হয় এই মারাত্মক কাণ্ড৷ ফাইনালের তখন পাঁচ দিন বাকি৷ জার্মানির সংবাদপত্র ‘বিল্ড’ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা যে হোটেলে রয়েছেন, সেখানে নগ্ন যুবতীদের নিয়ে একটি সুইমিং পুল পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ওই মহিলাদের নিয়ে এসেছিলেন দলেরই এক খেলোয়াড়। তাঁদের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছিলেন নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা৷ জানা যায়, ওই মহিলারা সকলেই ছিলেন স্থানীয়।
বিল্ড-এ আরও দাবি করা হয়, এই প্রতিবেদন সত্য এবং তাঁদের কাছে ওই পুল পার্টির প্রচুর ছবিও রয়েছে। যদিও তা কখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের প্রশিক্ষক রিনাস মাইকেলসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই প্রতিবেদনের কোনও সত্যতা নেই৷ সবটাই গুজব৷
মাইকেলসের দাবি ছিল, প্রতিবেদনের আড়ালে ফাইনালের আগে নেদারল্যান্ডের খেলোয়ারদের বিচলিত করতেই এই ষড়যন্ত্র করেছে পশ্চিম জার্মানি। আর যদি কোনও মহিলা হোটেলে এসেও থাকেন, তা হলে ‘মধু ফাঁদ’ পেতেছিল ওই সংবাদপত্রই৷
খেলোয়াড়রাও এই প্রতিবেদনকে মিথ্যে বলে দাবি করেন৷ তেমনই বিল্ড-এর এই প্রতিবেদনের সত্যতাও কোনও দিন প্রমাণিত হয়নি৷ ১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডস টিমের অধিনায়ক ছিলেন জোহান ক্রুইফ। তাঁর নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস দলের পারফরম্যান্স ছিল এককথায় দুরন্ত। কিন্তু, এই কেলেঙ্কারিতে জড়ানো হয়েছিল তাঁর নামও৷ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও এই নিয়ে বহু চর্চা হয়েছিল৷ তবে এ নিয়ে কখনও মন্তব্য করেননি বিশ্বকাপ জেতা পশ্চিম জার্মানির দলের অধিনায়ক ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>