নজর কাড়ছে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম, এখানেই বসবে বিশ্বকাপ ফাইনালের আসর

নজর কাড়ছে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম, এখানেই বসবে বিশ্বকাপ ফাইনালের আসর

দোহা:  রাত পোহালেই ফুটবল বিশ্বের মহারণ৷ সম্মুখ সমরে নামবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স৷ কাতার জুড়ে এখন সাজোসাজো রব৷ লুসাইল স্টেডিয়ামে বসবে বিশ্বকাপ ফাইনালের আসর৷ কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম এটি। ৮০ হাজারের বেশি দর্শকাসন রয়েছে এই স্টেডিয়ামে৷ ঝাঁ চকচকে লুসাইলে রয়েছে একাধিক সুবিধা। তবে অবাক করা বিষয় হল, বিশ্বকাপের পরেই এই স্টেডিয়ামটি ছোট করে দেওয়া হবে৷ বিক্রি করে দেওয়া হবে বহু জিনিস৷ 

আরও পড়ুন- ফাইনালের দু’দিন আগেই আরও এক বিশ্বকাপের ঘোষণা! চমকে দিল FIFA

লুসাইলের নকশা আলো-ছায়া থেকে অনুপ্রাণিত৷ ২০১০ সালে এই স্টেডিয়ামের নকশার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। অনেক আবেদন খতিয়ে দেখার পর অবশেষে বাটি-আকৃতির এক নকশাটি চোখে ধরে আয়োজক কমিটির। সেই নকশাই পরবর্তীকালে সুন্দর লুসেইল স্টেডিয়ামের রূপ নেয়৷ ২০১৭ সালে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সমাপ্ত হয়।

লুসাইল

এই স্টেডিয়ামের নকশাটি তৈরি করেছে বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচার ফার্ম ফোস্টার + পার্টনার্স গ্রুপ লিমিটেড৷ তাদের সঙ্গে কাজ করেছে ‘পপুলাস’। ছাড়াও সহযোগিতায় ছিল এএফএল আর্কিটেক ও ম্যানিকা আর্কিটেক। রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত লুসাইল স্টেডিয়ামের প্রতিটি কোণায় রয়েছে শিল্পকার্যের নিখুঁত ছোঁয়া। জলের প্রতিবিম্বাকৃতি এবং স্যাডল-ফর্মের ছাদের এই স্টেডিয়ামকে ওপর থেকে দেখলে মনে হবে ভাসমান মাঠ। চারপাশে রয়েছে জলের কৃত্রিম ফোয়ারা। মাঠে প্রবেশ করার আগে দর্শকদের পার করতে হবে বিশেষ সেতু। গ্রীষ্ণপ্রধান কাতারের গরম আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে স্টেডিয়ামে রয়েছে নিজস্ব সৌরশক্তিচালিত কুলিং সিস্টেম। স্টেডিয়ামের উপরের অংশ ঢাকা কাচের বিশেষ আবরণে। এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৭৬৭ মিলিয়ন ডলার৷ ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৬১০ কোটি ৭২ লক্ষ ১৬ হাজার ১১০ টাকা।

পারস্য উপসাগরের উপকূলের কাছেই গড়ে উঠেছে  লুসাইল স্টেডিয়াম। পুরনো জাহাজ এবং জাহাজের বিভিন্ন বস্তুর ওপর যে সুন্দর কারুকার্য থাকে তার সঙ্গে লুসেইল স্টেডিয়ামের নজরকাড়া নকশার সাদৃশ্য রয়েছে। কাতারের উচ্চাকাঙ্খা, আরব সংস্কৃতিকেও তুলে ধরে এই লুসেইল স্টেডিয়াম।

বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর লুসাইল স্টেয়িডামের আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে, আসন সংখ্যা কমিয়ে ৪০ হাজার করা হবে। স্টেডিয়ামের বাকি অংশে দোকান, ক্যাফের পাশাপাশি তা  অ্যাথলেটিক্সের কেন্দ্রতে রূপান্তরিত করা হবে৷