নয়াদিল্লি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, হিজাব অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়৷ এই রায় দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া সমস্ত পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বিষয় এখানেই থেমে নেই। এবার কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদুপি কলেজের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন- শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ!
কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল হিজাবের পক্ষে আন্দোলন করা ছাত্রছাত্রীরা৷ কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র নয় তারা। সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত এক আইনজীবী আনাস তনবীর টুইট করে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি ছাত্রীরা সুপ্রিম কোর্টে যাবে এবং পড়াশুনার পাশাপাশি হিজাব পরার অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, এই মেয়েরা আদালত ও সংবিধানের ওপর থেকে এখনও আশা ছাড়েনি। আসলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কর্ণাটক সরকার৷ প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উদুপি জেলা৷ স্কুল-কলেজগুলি রণক্ষেত্রের রূপ নেয়৷ বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়৷ এর পর সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়৷ আজ হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
আজ আদালতের রায়ের পর গোলমালের আশঙ্কা করে কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরুতেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ হিজাব বিতর্কের ভরকেন্দ্র উদুপিতে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। এদিকে এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাউদ্দি ওয়েইসি কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা করেছেন।